শরীরচর্চার রুটিন স্থগিত রাখবেন না।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর পূজা-পার্বণ মানেই তো ছুটির আমেজ, প্রতি দিনের কর্মব্যস্ততা থেকে মুক্তি। তাই উৎসেবর দিনগুলি রুজি-রুটিনের বাধ্যবাধকতা আর মানতে চান না কেউই। সামনেই দীপাবলি। কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা— এই সময়টায় আবার বাঙালি মেতে উঠবে পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে। কিন্তু সেই অজুহাতে শরীরচর্চায় ফাঁকি দিলে কিছু দিনের মধ্যেই ওজন বেড়ে যাবে অনেকটা। কী ভাবে তা আটকানো সম্ভব?
১) শরীরচর্চার রুটিন স্থগিত রাখবেন না। সময় বার করতে না পারলে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন, অথবা দিনে ৩ বার সূর্যনমস্কার করুন।
২) শরীরচর্চার রুটিনে ১০-১৫ মিনিট রাখুন কার্ডিয়োর জন্য। না হলে দীর্ঘ দিনের পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ে শরীরের যে নমনীয়তা তৈরি করেছেন তা হারিয়ে যেতে পারে কয়েক দিনের অনিয়মেই।
৩) এত দৌড়ঝাঁপের মধ্যে শরীরচর্চার জন্য সময় বার করতে গিয়ে মানসিক চাপ বা ক্লান্তি আসতেই পারে। সে জন্য শরীরচর্চার পরে ৫-১০ মিনিট ধ্যান করুন। এতে আপনার মনোসংযোগ অক্ষুণ্ণ থাকবে, আপনিও চাপমুক্ত হবেন অনেকটাই।
৪) ধ্যানের পাশাপাশি প্রাণায়াম বা অনুলোম্বিলোমের মতো শ্বাস-প্রশ্বাসের যোগাসনগুলিও করবেন। দীপাবলির সময়ে এমনিতেই বায়ুদূষণ অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যায়। এই সময়ে এই যোগগুলি আপনার ফুসফুসকে পরিষ্কার ও মুক্ত রাখবে।
৫) যদি ব্যায়াম বা শরীরচর্চায় মন না বসে তবে তার বিকল্পও আছে। বেশিক্ষণ হাঁটুন বা সিঁড়ি দিয়ে একাধিক বার ওঠা-নামা করুন। জিমেও যেতে পারেন। বাড়ির বাইরে যেতে ইচ্ছে না হলে বাড়িতেই করে নিতে পারেন স্কিপিং।
৬) উৎসবের মরসুমে কোনও কোনও দিন বেশি খাওয়াদাওয়া হয়ে যায় সহজেই। বাড়তি ক্যালরি ঝরানোর জন্য পরের দিন সকালে যেতে পারেন জগিংয়ে। সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটাও এ ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী।
৭) ছুটির দিনে দেদার অনিয়মের মধ্যেই ফিট থাকার আর একটি সহজ উপায় হল গন্তব্যের আগে ট্রেন বা বাস থেকে নেমে পরা। বাকি রাস্তা হেঁটে ফিরুন। হাঁটলে শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকে।
৮) উপরে বা নীচে ওঠা-নামা করার সময়ে লিফ্ট নয়, সিঁড়ি ব্যবহার করুন। মেট্রোয় যাতায়াত করলে চেষ্টা করুন চলমান সিঁড়ি এড়াতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy