বেশ কিছু বন্ধুরা 'নারকেল / তিল নাড়ু" নিয়ে প্রশ্ন রাখেন।
কেন নাড়ু? কেন অপরিহার্য?
তত্ত্ব ঘেঁটে নাড়ুর অপরিহার্যতার কারণ বিশেষ কিছুই পাওয়া যায় না।
তবে বৃদ্ধ ও বয়োজ্যেষ্ঠদের হাত ধরে উপলব্ধির গভীরে নেমে উত্তর পাওয়া গেছে।
নাড়ু -
লড্ডুক বা লড্ডু হতে লাড়ুর উৎপত্তি। তার পর কথ্য ভাষায় ভাঙতে ভাঙতে নাড়ু।
উপাদান-
নারকেল, তিল ( লক্ষ্মীপুজোর নাড়ুর উপকরণ)।
কারণ -
মা যে স্নেহময়ী।
ঋগ্বেদ থেকে শত পথ ব্রাহ্মণের যে অধ্যায় আছে, তার একটি হল 'দেবীশ্রী'। সেখানে সর্বত্র মাতা লক্ষ্মীর সঙ্গে শ্রী, ঐশ্বর্য, স্নেহ, লালিত্যের যোগ আমরা দেখতে পাই। মাতা কমলা আসলে অন্তঃস্থিত ঐশ্বর্য বা অন্তঃশ্রীর দেবী। তাই তো মানুষের চতুর্দশা ধর্ম, কাম, অর্থ ও মোক্ষকে তিনি ধারণ করেন।
তিনি আমাদের দেবী লক্ষ্মী।
এ বার কথা হল, নারকেল, তিল এ গুলি আদতে কী?
এ গুলি বিজ্ঞানের ভাষায় বা কথ্য ভাষাতেও স্নেহ দ্রব্য অর্থাৎ এদের থেকে তৈল উৎপাদন করা যায়।
নাড়ুর উপাদান শর্করা (চিনি) ও এক অর্থে স্নেহ। কারণ স্নেহের প্রকাশ সদা মিষ্টি হয়।
অর্থাৎ এই নারকেল বা তিলের নাড়ু সেই মাতৃস্নেহকেই প্রসাদ রূপে গ্রহণের দ্যোতনা দেয়। মায়ের স্নেহের পদার্থরূপী বাস্তব রূপ হল নাড়ু। ভাবা যায়!
নাড়ুকে আমরা বহিরঙ্গে কেবল নাড়ু দেখি, কিন্তু এর মর্মে যে দর্শন লুকিয়ে আছে৷ তা হয়তো পর্বতসম।
এটুকুই যা জানা যায়!
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy