বাস্তব পরিসংখ্যানটি বুঝুন: বিমান বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা (IATA)-র তথ্য অনুযায়ী, গড়ে প্রতি কোটি ফ্লাইটে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে। তুলনায়, সড়ক দুর্ঘটনার হার কয়েকশো গুণ বেশি। অর্থাৎ, সংবাদমাধ্যমে দুর্ঘটনার খবর বেশি চোখে পড়লেও, বাস্তবে ঝুঁকি অত্যন্ত কম। বিমান দুর্ঘটনা খুব বিরল বলেই আসলে সেটি নিয়ে খবর হয়। আর তার প্রভাব সকলের মতোই আপনার মনেও পড়েছে।
ভ্রমণ বিমা করুন: যাত্রার আগে একটি ভাল ট্রাভেল বিমা করিয়ে নিন। এতে আপনার মনে বাড়তি সুরক্ষাবোধ তৈরি হবে, এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আপনি আর্থিক সুরক্ষা পাবেন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, এই ধরনের বিমা থাকলে বাড়িতে যাঁরা আপনার উপর নির্ভরশীল, তাঁদের নিয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা কিছুটা কমে। এতে ঠান্ডা মাথায় বিমানে চাপতে পারবেন।
মন শান্ত রাখার মতো জিনিস সঙ্গে রাখুন: ফ্লাইট চলাকালীন পড়া, গান শুনতে পারেন, সিনেমা দেখতে পারেন। এগুলি করে মন অন্য দিকে সরিয়ে রাখুন। বই পড়ার অভ্যাস থাকলে সেটাও করতে পারেন। মেডিটেশনও আপনাকে সাহায্য করতে পারে। প্রয়োজনে ট্রাভেল অ্যাংজ়াইটি নিয়ে মনোবিদের সঙ্গে আলোচনা করুন। দুর্ঘটনার খবর এড়িয়ে চলুন: বেড়াতে যাওয়ার আগে বিমান দুর্ঘটনার খবর পড়া বা ভিডিয়ো দেখা থেকে বিরত থাকুন। এটি শুধু উদ্বেগ বাড়ায়, আপনাকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দিতে পারে না।
শেষে মনে রাখা দরকার, ভয় আমাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। সেটা আটকানো আপনার হাতে নয়। কিন্তু সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করা আপনার হাতে। বিমান পরিষেবা অত্যন্ত নিরাপদ, এই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। তাই পুজোর ছুটিতে বিমানে যাত্রা করুন নিশ্চিন্তে, আর উৎসবের আনন্দ উপভোগ করুন নির্ভয়ে।(এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy