শেষটা নড়বড়ে হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সম্বৎ ২০৭৪ সব মিলিয়ে খুব একটা খারাপ গেল না শেয়ার বাজারের। গুজরাতিদের সদ্যসমাপ্ত বছরে ২,৪০৭.৫৬ পয়েন্ট বা ৭% বাড়ল সেনসেক্স। অন্য দিকে, গত এক বছরে নিফ্টি বেড়েছে ৩১৯.১৫ পয়েন্ট (প্রায় ৩%)। আজ দেওয়ালির দিনে নতুন সম্বত শুরুর মুহূর্তে বাজার এখন তাকিয়ে ভাল খবরের দিকে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মার্কিন-চিন শুল্ক যুদ্ধ, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম বাড়া থেকে শুরু করে ভারতে ডলারের সাপেক্ষে টাকার পতন এবং মূলধনী বাজারের পুঁজিতে টান— গত এক বছরে এ সবই চিন্তা বাড়িয়েছে লগ্নিকারীদের। তার উপরে ইরানের উপরে ফের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও রাশিয়ার সঙ্গে পরমাণু অস্ত্র চুক্তি বাতিল নিয়ে আমেরিকার হুমকিও বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ফলে শেয়ারে টাকা ঢালার আগে দু’বার ভাবছেন বিনিয়োগকারীরা।
মার্কিন মুলুকে সুদ বাড়ায় বিদেশি লগ্নিকারীরা ক্রমাগত ভারতে শেয়ার বিক্রি করে সেখানে টাকা সরিয়ে নিচ্ছেন। ফলে চাহিদা বাড়ছে ডলারের, পড়ছে টাকার দাম। গত কয়েক মাসে সূচকের উপরেও তার প্রভাব স্পষ্ট।
নভেম্বরেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের শুরু। লোকসভা ভোট আগামী বছরে। নির্বাচনের ঠিক আগে বরাবরই অনিশ্চিত থাকে বাজার। লগ্নিকারীরা কিছুটা হাত গুটিয়ে নেন। এখনও তেমনটা ঘটছে। স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখের মতে, এই অবস্থায় আগামী দিনে বাজারের গতি নির্ধারিত হবে মূলত ভোটের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে। তবে তিনি বলেন, দেশের বৃদ্ধির হার থেকে শুরু করে অর্থনীতির বিভিন্ন মাপকাঠি এখন ভালই। ফলে সে ভাবে বাজারের চিন্তার কারণ নেই। বরং শুল্ক যুদ্ধ ও ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞার মতো আন্তর্জাতিক ঘটনাই তফাৎ গড়ে দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy