পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) ব্যবস্থায় কোনও ব্যবসায়ীর বার্ষিক আয় ২০ লক্ষ টাকার কম হলেও তাঁর উচিত জিএসটিতে নথিভুক্ত হওয়া। মঙ্গলবার এমসিসি চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত জিএসটি নিয়ে এক আলোচনাসভায় এই মন্তব্য করেন কলকাতায় পরিষেবা করের চিফ কমিশনার এস কে পান্ডা।
পণ্য-পরিষেবা কর আইন অনুযায়ী যে-সব ব্যবসায়ীর বার্ষিক আয় ২০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি, তাঁদের বাধ্যতামূলক ভাবে এই নতুন কর ব্যবস্থায় নথিভুক্ত হতে হবে। এই প্ররিপ্রেক্ষিতেই পান্ডা বলেন, জিএসটি-তে একমাত্র নথিভুক্ত ব্যবসায়ীরাই ‘ইনভয়েস’ বা পণ্য লেনদেনের বিবরণ সংক্রান্ত নথি তৈরি করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের আগে মিটিয়ে দেওয়া কর ফেরত বা ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট পেতে সুবিধা হবে। নথিভুক্ত হলে ২০ লক্ষ টাকার কম আয়ের ব্যবসায়ীরাও এই একই সুবিধা পাবেন।
সভায় রাজ্য বাণিজ্য-কর বিভাগের সিনিয়র যুগ্ম কমিশনার খালেদ আজিজ আনোয়ার জানান, জিএসটি জমানায় রাজ্যের কোষাগারে এমন অনেক কর আসবে, যা বর্তমান কর ব্যবস্থায় রাজ্য পায় না। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পণ্য সরবরাহের সময়ে এখন ই-ওয়েবিল প্রয়োজন হয়। খালেদ মনে করেন, জিএসটি জামানায় রাজ্যের মধ্যে পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে ই-ওয়েবিল ব্যবস্থা উঠে যেতে পারে।
এ দিকে কেন্দ্রের পরিকল্পনা অনুসারে আগামী ১ জুলাই থেকেই নতুন কর ব্যবস্থা চালু হলে, ওই সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীদের পক্ষে পণ্য -পরিষেবা কর ব্যবস্থার নিয়ম-কানুন পুরোপুরি বুঝে ওঠার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন এমসিসি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হেমন্ত বাঙ্গুর। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর ফলে ব্যবসায়ীরা নতুন জিএসটি আইন মেনে কর মেটানোর ক্ষেত্রেও সমস্যার মুখে পড়তে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy