গ্রাহক টানতে প্রতিযোগিতার বাজারে ব্যাঙ্কিং শিল্পের হাতিয়ার ডিজিটাল প্রযুক্তি। সেই কৌশলে ভর করেই ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য আলাদা একটি পোর্টাল (এসএমই ব্যাঙ্ক) চালু করেছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কের দাবি, ওই পোর্টালের মাধ্যমে এ ধরনের সংস্থা অনেক দ্রুত ও সহজে ব্যবসায়িক লেনদেন করতে পারবে। নথিপত্র জমা দেওয়াও সহজ হবে।
ব্যবসা চালাতে গিয়ে ‘লেটার অব ক্রেডিট’, ‘ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি’, ‘স্টক স্টেটমেন্ট’ ইত্যাদির নথিপত্র নিতে ছোট ও মাঝারি শিল্পকে অনেক সময় খরচ করতে হয়। এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, গোড়ায় এমন অনেক নথিই ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে জমা দিতে হত। তারপর তা খতিয়ে দেখে ব্যাঙ্ক ছাড়পত্র দিত। পরে কিছু বিষয় ই-মেলে পাঠানোর বন্দোবস্ত হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্যের জন্য ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট ‘রিলেশনশিপ ম্যানেজার’-কে ফোন করতে হত।
এইচডিএফসি-র গ্রুপ হেড অসীম ধ্রু জানিয়েছেন, একই শহরের মধ্যে হলে নথিপত্র জমা দেওয়া ও ছাড়পত্র পেতে গোটা দিন লেগে যেত। আর শহরের বাইরে হলে বাড়তি সময় লাগত। নতুন ব্যবস্থায় নিজের ঘরে বসেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা পোর্টালের মাধ্যমে সেই সব নথিপত্র জমা বা লেনদেনের আবেদন জানাতে পারবে। একই শহরের মধ্যে হলে এবং সব শর্ত ঠিক মতো পূরণ করলে ঘণ্টা পাঁচেকের মধ্যেই ছাড়পত্র পেয়ে যাবে তারা। তেমনই ব্যাঙ্কের হিসেবে, লেনদেনের জন্য মাসে একটি সংস্থা এত দিন ২০০-৩০০টি চেক ব্যবহার করত। অসীমবাবুর দাবি, নতুন ব্যবস্থায় সে সবের কোনও দরকার হবে না। অনলাইন ব্যবস্থায় সহজেই লেনদেন করতে পারবে তারা।
এখন এক লক্ষ ছোট-মাঝারি সংস্থা এইচ়ডিএফসি ব্যাঙ্কের গ্রাহক। নতুন ব্যবস্থা চালু হলে গ্রাহক সংখ্যা কতটা বাড়বে, তা নিয়ে এখনই ভাবতে নারাজ তারা। অসীমবাবু জানান, আপাতত তাঁদের মূল লক্ষ্য এখনকার গ্রাহকদের নতুন ব্যবস্থায় যুক্ত করা। এ পর্যন্ত ছোট-মাঝারি সংস্থাকে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ব্যাঙ্কটি। আগামী চার বছরে তা দ্বিগুণ করাই তাঁদের লক্ষ্য, জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy