উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পথে বাধা হিসেবে অনেক সময়েই লাল ফিতের ফাঁস কিংবা শ্রম আইনের সমস্যার কথা ওঠে। কিন্তু অপচয় ও বাজে খরচ কমিয়ে বা উৎপাদন ব্যবস্থায় নতুন ভাবনা আনলেও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর বিকল্প পথের সন্ধান মিলতে পারে। আর, সেই খোঁজ দিতেই রাজ্যের ছোট ও মাঝারি শিল্পকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কেন্দ্র। দু’বছরে রাজ্যের আরও ১০টি গুচ্ছ ভিত্তিক (ক্লাস্টার) ছোট ও মাঝারি শিল্পকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল প্রডাক্টিভিটি কাউন্সিল (এনপিসি)।
উৎপাদনশীলতা নিয়ে বুধবার বেঙ্গল চেম্বার ও এনপিসি আয়োজিত সভায় এনপিসি-র আঞ্চলিক অধিকর্তা অঞ্জন কুমার সিংহ জানান, গত তিন বছরে তাঁরা এ রাজ্যের ১০টি ক্লাস্টার-কে ‘লিন ম্যানেজমেন্ট’-এর প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এমনই একটি ক্লাস্টার-এর অন্যতম সংস্থা নিয়োগী টেকনোলজিস অ্যান্ড রিসার্চ-এর কর্তা সন্দীপ নিয়োগীর দাবি, তাঁরা বিকল্প পদ্ধতি প্রয়োগ করে লাভবান হয়েছেন। তিনি জানান, গুণগত মানের সঙ্গে আপস না-করেও তাঁরা তৈরি পণ্যের ওজন কমিয়ে বছরে প্রায় ২৪.৭৫ লক্ষ টাকার খরচ বাঁচিয়েছেন। তেমনই কিছু ব্যবস্থা নিয়ে বিদ্যুতের খাতে খরচও কমিয়ে দিয়েছেন প্রায় ২৬%। পাশাপাশি উৎপাদন পদ্ধতিতে বদল এনে ও জলের পুনর্ব্যবহার করে খরচে কমেছে প্রায় তিন লক্ষ টাকা।
এনপিসি-র দাবি, অনেক সময়েই কাঁচামালের জন্য বাড়তি খরচ করে ফেলায় শিল্প সংস্থার পুঁজিতে টান পড়ে। তেমনই উৎপাদন ব্যবস্থায় কোনও ত্রুটির কারণে পণ্য তৈরি করতে বেশি সময় লাগায় বাজারে অনেক সময়ে দেরিতে পৌঁছয় পণ্যটি। আবার কোনও ক্ষেত্রে হয়তো গুণগত মানের সমস্যার কারণে পণ্য বাতিল করে দেন ক্রেতা। অঞ্জনবাবুর দাবি, উৎপাদন ব্যবস্থায় এই সব ত্রুটি দূর করতে পারলেই ব্যবসা বাড়তে পারে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। এর ফলে বেড়ে যাবে সংস্থার মুনাফার অঙ্কও।
দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী যোজনায় এ রাজ্যের আরও ১০টি ক্লাস্টার-কে এই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা। সেই তালিকায় বৈদ্যুতিক পাখা, ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রাংশ, বস্ত্র, রাসায়নিক পণ্যের শিল্পগুলি রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy