পরামর্শ: বাজেটের আগে শুক্রবার দিনভর বৈঠকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পাশে রাজস্ব সচিব অজয় ভূষণ পাণ্ডে। ছবি: পিটিআই
একে বৃদ্ধিতে শামুক গতি। তার উপরে চাহিদায় ভাটা। বাজারে কেনাকাটা কমে যাওয়ায় আশঙ্কার মেঘ অর্থনীতির আকাশে। এই পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে তেজি বৃদ্ধির পথে হাঁটতে বাজেটের আগে রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সাহায্য চাইলেন মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
৫ জুলাইয়ের বাজেট নিয়ে আজ রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের মতামত জানতে চেয়ে বৈঠকে বসেন নির্মলা। আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র যোগ দেননি। তবে অর্থ দফতরের কর্তারা বাজেটের প্রস্তুতি ও তারপরে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। নির্মলা আনন্দবাজারকে জানান, ‘‘অমিত মিত্র বৈঠকে না এলেও আমাকে চিঠি লিখে নিজের মতামত জানিয়েছেন।’’
পশ্চিমবঙ্গ বাদে মিজোরাম, কর্নাটক ও তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রীরা বৈঠকে থাকতে পারেননি। তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই নির্মলা ফোনে কথা বলেন। এর পরে বৈঠকের শুরুতেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সাহায্য চেয়ে নির্মলা বলেন, কেন্দ্র বৃদ্ধির দিশা ঠিক করবে। কিন্তু বাস্তবে তার রূপায়ণ করতে হবে রাজ্যগুলিকেই। একসঙ্গে কাজ না করলে, লক্ষ্য পূরণ হবে না।
অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা মনে করছেন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এখন উপায় সরকারি খরচ বাড়ানো ও কর ছাড়ের দাওয়াই। তার জন্য রাজকোষ ঘাটতি কমানোর লক্ষ্য ফের পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
নির্মলার যুক্তি, কেন্দ্রের রাজকোষ থেকে এখন রাজ্যগুলির কাছে বিপুল অর্থ যাচ্ছে। সম্প্রতি তা ৮.২৯ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১২.৩৮ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে। চতুর্দশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে কেন্দ্রীয় করের ৪২% অর্থ রাজ্যগুলির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হচ্ছে। বৈঠকে অবশ্য দিল্লি, ছত্তীসগঢ়ের মতো বিরোধী দলশাসিত রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় করের ভাগ, পিএম-কিসানের মতো প্রকল্পে প্রাপ্য টাকার দাবি জানিয়েছে। এনসেফেলাইটিসে মৃত্যুর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য খাতে অর্থ সাহায্য চেয়েছে বিহার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy