Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

লেনদেনে বাড়তি নজর এখন আধারে

তথ্যের সুরক্ষার প্রশ্নে আধার নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এর মাধ্যমে নগদহীন লেনদেনের শাখা-প্রশাখা আরও ছড়াতে চলেছে কেন্দ্র। ক্রেতার আধার নম্বর ও আঙুলের ছাপ নিয়েই তাঁকে কেনাকাটায় দাম মেটানোর সুযোগ দিতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের জন্য ‘আধার-পে’ মোবাইল অ্যাপ পরিষেবা চালু হচ্ছে।

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত
শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৪৩
Share: Save:

তথ্যের সুরক্ষার প্রশ্নে আধার নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এর মাধ্যমে নগদহীন লেনদেনের শাখা-প্রশাখা আরও ছড়াতে চলেছে কেন্দ্র।

ক্রেতার আধার নম্বর ও আঙুলের ছাপ নিয়েই তাঁকে কেনাকাটায় দাম মেটানোর সুযোগ দিতে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের জন্য ‘আধার-পে’ মোবাইল অ্যাপ পরিষেবা চালু হচ্ছে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ১৪ এপ্রিল ভীমরাও অম্বেডকরের জন্মদিনে সেই পরিষেবার উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পর থেকে কেন্দ্র নগদহীন লেনদেনে জোর দিলেও অনেকের কাছেই তা বিপুল বোঝার সামিল। ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড বা স্মার্টফোন বেশির ভাগেরই নেই। পাশাপাশি এ সব পরিষেবা ইংরেজি নির্ভর। সকলে তা বুঝতে পারেন না।

আইডিএফসি ব্যাঙ্কই প্রথম ‘আধার-পে’ চালু করে। এ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কটি বিভিন্ন সংস্থা বা ছোট বিক্রেতার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে। ক্রেতারা সেই সব সংস্থার কাছ থেকে পণ্য বা পরিষেবা কিনলে বিক্রেতার ফোনের আধার-পে পরিষেবায় দাম মেটাতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে শুধু তাঁর আধার নম্বর ও আঙুলের ছাপের প্রয়োজন হবে। তবে ক্রেতার আধার নম্বর তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।

ব্যাঙ্কিং শিল্প সূত্রের খবর, এই ব্যবস্থাই আরও ছড়াতে চায় কেন্দ্র। এ জন্য ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন সাধারণ পরিকঠামো গড়ছে। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক বিভিন্ন ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিয়েছে, ১৪ এপ্রিলের মধ্যে অন্তত ১ লক্ষ সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে।

কার্ড মারফত লেনদেনের চেয়ে আধার-পে পরিষেবা যেমন সহজ হবে, তেমনই খরচও অনেক কম হবে বলে ব্যাঙ্কিং শিল্পের দাবি। ফলে উপকৃত হবে ছোট-মাঝারি বিপণন সংস্থাগুলি। বিক্রেতাকে শুধু একটি স্মার্টফোন ও আঙুলের ছাপ নেওয়ার যন্ত্র রাখতে হবে। যন্ত্র বিভিন্ন ব্যাঙ্কও ভাড়ায় দিতে পারে। এক ব্যাঙ্ক-কর্তার দাবি, সেটির প্রথম বরাতও পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা।

যদিও নগদহীন লেনদেনে গ্রাহকের আধার-তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে বারেবারেই প্রশ্ন উঠছে, ব্যাঙ্কিং শিল্পের দাবি, তা অমূলক। একটি সরকারি ব্যাঙ্কের অন্যতম শীর্ষ কর্তার দাবি, প্রথমত, গোটা পরিকাঠামো তৈরি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কেরই আওতায় তৈরি এনপিসিআই। দ্বিতীয়ত, লেনদেনে ক্রেতার যে-তথ্য বা আঙুলের ছাপ নেওয়া হচ্ছে, তার সঙ্গে আধার কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা তথ্যের যোগ নেই। শুধু যিনি টাকা দিচ্ছেন, তাঁর পরিচয় যাচাই করতে আলাদা ‘প্ল্যাটফর্ম’ বা মঞ্চের মাধ্যমে আধার-নম্বর ও আঙুলের ছাপ নেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE