দরজায় ভোট। বৃহস্পতিবার তাই তড়িঘড়ি বিভিন্ন ক্ষেত্রের একগুচ্ছ প্রস্তাবে সায় দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। যার মধ্যে অন্যতম বস্ত্র, চিনি, বিদ্যুৎ। মোদী জমানায় যে তিন ক্ষেত্রকে তাড়া করে ফিরেছে নানা সঙ্কট। চাপা থাকেনি সেগুলির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ। ভোটের আগে তাতে মলম লাগানোর সুযোগ এ দিন হাতছাড়া করেনি কেন্দ্র। কাপড় ও তৈরি পোশাক রফতানিকারীদের সুবিধা জোগাতে কর ফেরতের (ট্যাক্স রিবেট) প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। চিনিকলগুলিকে সম্মতি দিয়েছে কম সুদে বাড়তি ১২,৯০০ কোটি ঋণ মঞ্জুরিতে। আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলিকে চাঙ্গা করতে সায় দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিগোষ্ঠীর বেশ কিছু সুপারিশে। যার মধ্যে স্বল্প মেয়াদে বিদ্যুৎ বিক্রির চুক্তির ক্ষেত্রে কয়লা পাওয়ার ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন নিলাম মারফত বেশি জ্বালানির জোগানও আছে।
বস্ত্র সচিব রাঘবেন্দ্র সিংহের দাবি, জিএসটির বাইরে অন্য যে সমস্ত কর ও লেভি ওই কাপড় এবং তৈরি পোশাক রফতানিকারীদের কেন্দ্র এবং রাজ্যের কাছে গুনতে হয়, রিবেট মারফত তা-ই ফেরানো হবে। রাঘবেন্দ্রের অবশ্য দাবি, ভারতের বস্ত্র রফতানির প্রায় ৫৬% জুড়ে বিদেশের বাজারে কাপড় ও তৈরি পোশাক বিক্রি। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য, বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতার রসদই জোগানো।
উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে গন্না যে ব্যালট বাক্সে বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে, তা আঁচ করে সায় দেওয়া হয়েছে চিনিকলগুলিকে কম সুদের বাড়তি ঋণ মঞ্জুরিতে। যাতে ইথানল তৈরির ক্ষমতা বাড়াতে পারে তারা। উদ্দেশ্য, নগদের জোগান বাড়িয়ে চিনিকলগুলির পুনরুজ্জীবন। আর তার হাত ধরে আর্থিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া আখ চাষিদের ঝুলিতে।
বিদ্যুতেও কেন্দ্রের লক্ষ্য ছিল কিছু আর্থিক সঙ্কটে ভোগা প্রকল্পকে সুবিধা দেওয়া। এর ফলে আদানি, জিভিকে, জিএমআর এসার গোষ্ঠীর প্রকল্প উপকৃত হবে। যেগুলি অনুৎপাদক সম্পদের তকমা পেয়েছিল।
বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ৩১,৫৬০ কোটি টাকা লগ্নির প্রস্তাবেও সায় মিলেছে। জোর দেওয়া হয়েছে আর্থিক সাহায্যের মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy