বাগডোগরা বিমানবন্দরের সার্বিক আধুনিকীকরণের দাবিতে আজ সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সরব হলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এর উত্তরে বিমান মন্ত্রী হরদীপ পুরী জানিয়েছেন, ওই বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের জন্য দরকার ১০০ একর জমি। যা দেওয়ার কথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই জমি সংক্রান্ত কোনও প্রস্তাব হাতে আসেনি কেন্দ্রের। ইতিমধ্যেই সেই জমি কিনতে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আধুনিকীকরণের জন্য ৮০০ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে বলেও জানান পুরী।
বৃহস্পতিবার সুদীপবাবুর বক্তব্য, ছিল, ‘‘উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার বাগডোগরা বিমানবন্দর। কিন্তু এই বিমানবন্দর ভাল অবস্থায় নেই। কেন্দ্র কি অগ্রাধিকার দিয়ে বিমানবন্দরটির পুরোদস্তুর আধুনিকীকরণ করতে ইচ্ছুক ?’’ জবাবে হরদীপ পুরী জানান, এই বিমানবন্দরের গুরুত্ব সম্পর্কে তাঁর সরকার অবহিত। এর আঞ্চলিক এবং কৌশলগত গুরুত্বের কথাও তাঁরা স্বীকার করেন। কিন্তু এই বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ১০০ একর জমি নিয়ে রাজ্য পদক্ষেপ না করলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে এগোনো সম্ভব নয়।
এই বিমানবন্দরের হাল ফেরাতে এক বছর আগে থেকেই তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। গত বছর অগস্টে কলকাতায় গিয়ে বাগডোগরা সম্প্রসারণ নিয়ে ইতিবাচক কথা বলেছিলেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র। তিনি বলেছিলেন, যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু বেশি যাত্রীর জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা নেই। তাই নতুন উড়ান চালুর অনুমতিও দেওয়া যাচ্ছে না। তাই বিমানবন্দর বহরে বাড়ানো প্রয়োজন। আর তার জন্য দরকার ৯০-১০০ একর জমি। সেই জমিও চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। তার দাম পড়বে ২৫ কোটি টাকা। মূলত বিমানবন্দর লাগোয়া চা-বাগান থেকেই ওই জমি নিতে হবে।