প্রতীকী ছবি।
দেশে বেড়ে চলা চেক বাউন্সের ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। যা আটকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে তারা। সূত্রের খবর, সম্প্রতি এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রকের ডাকা বৈঠকে চেক যিনি বা যে সংস্থা ইসু করেছে, তাঁর বা তাদের অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া বা পরবর্তীকালে অভিযুক্তের নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় নিষেধাজ্ঞা জারির মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিভিন্ন আদালতে চেক বাউন্সের প্রায় ৩৫ লক্ষ মামলা জমে। যা কমানোর পরামর্শ দিতে কমিটি তৈরি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। নেগোশিয়েব্ল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট, ১৮৮১-এর ১৩৮ নম্বর ধারা অনুসারে, চেক বাউন্সের ক্ষেত্রে অভিযোগ প্রমাণ হলে চেকের অঙ্কের সর্বোচ্চ দ্বিগুণ জরিমানা বা সর্বাধিক দু’বছরের জেল অথবা দু’টিই হতে পারে। সূত্রের খবর, এত মামলা মেটাতেই নানা পদক্ষেপ নিয়ে কথা হয়েছে বৈঠকে। যার মধ্যে রয়েছে—
* চেক যিনি বা যে সংস্থা ইসু করেছে, তাঁর বা তাদের মূল অ্যাকাউন্ট (যেটি থেকে চেক ইসু হয়েছে) থেকে টাকা কাটার পরে বকেয়া টাকা অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া।
* চেক ইসুকারীর নতুন অ্যাকাউন্ট খোলায় নিষেধাজ্ঞা চাপানো।
* যে অঙ্কের চেক বাউন্স হবে, তাকে অনাদায়ি ঋণ হিসেবে চিহ্নিত করে ক্রেডিট ইনফরমেশন সংস্থার কাছে পাঠানো প্রভৃতি।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই সব পরামর্শ কার্যকর হলে মামলা কমবে ও দেশে ব্যবসার পরিবেশ সহজ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy