জবাব: বৃহস্পতিবার লোকসভায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পিটিআই
বাজেটে বছরে ২ কোটি টাকার বেশি আয়ে সারচার্জ বাড়িয়েছে কেন্দ্র। যার ফলে অতি ধনী, অবিভক্ত হিন্দু পরিবার এবং বিভিন্ন ট্রাস্টের করের বোঝা বেড়েছে। এই ব্যবস্থার মধ্যে বিদেশি লগ্নিকারীরাও চলে আসছে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল বাজারে। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছিল শেয়ার সূচকের উপর। কেন্দ্র জানিয়েছিল, সংসদে বাজেট অধিবেশনেই সেই ধন্দ দূর করে দেওয়া হবে। কিন্তু শেয়ার বাজারে লগ্নিকারী সংস্থার সারচার্জ নিয়ে পুরনো অবস্থানেই অনড় থাকল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্ক থেকে বছরে ১ কোটি টাকার বেশি তোলার ক্ষেত্রে উৎসে করের (টিডিএস) বিষয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পরামর্শ, এই খরচ এড়াতে চাইলে বেশি করে ডিজিটাল লেনদেন করুক সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও ব্যক্তিরা।
বৃহস্পতিবার লোকসভায় অর্থ বিলের উপরে বক্তৃতায় নির্মলা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, শেয়ার বাজারে লগ্নিকারী সংস্থা নিজেদের ট্রাস্ট হিসেবে নথিভুক্ত করে থাকলে বাড়তি সারচার্জ দিতে হবে। তা এড়াতে হলে তারা নিজেদের কোম্পানি হিসেবে নথিভুক্ত করতে পারে। পরে ধ্বনিভোটে পাশ হয়ে যায় অর্থ বিল।
বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও এ দিন নিউজপ্রিন্টের উপর বাড়তি ১০% আমদানি শুল্ক, বছরে ১ কোটি টাকার বেশি নগদ ব্যাঙ্ক থেকে তোলার উপরে ২% টিডিএস চাপানোর অবস্থান থেকে সরেননি অর্থমন্ত্রী। পেট্রল-ডিজেলে বাড়তি সেস বসানোর প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবিও সরকার মানেনি। এ ব্যাপারে আরএসপি সাংসদ এন কে প্রেমচন্দ্রন সংশোধনী আনলে সংখ্যার জোরে তা ভোটাভুটিতে খারিজ করে দেয় সরকার পক্ষ।
তৃণমূলের সৌগত রায়-সহ বহু সাংসদ অভিযোগ করেন, নিউজপ্রিন্টের উপরে ১০% আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে কেন্দ্র আসলে সংবাদমাধ্যম শিল্প বন্ধ করে দিতে চাইছে। পাশাপাশি সৌগত বলেন, ১ কোটি টাকার বেশি নগদ তোলার উপরে টিডিএস চাপানোয় চা বাগানগুলিতে সমস্যা হবে। তাঁর যুক্তি, চা বাগানে কর্মীদের প্রতিদিন মজুরি দিতে হয়। ফলে প্রচুর নগদ তুলতে হয় ব্যাঙ্ক থেকে।
নির্মলা নিউজপ্রিন্ট নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেও নগদের সমস্যা নিয়ে বলেন, ছোট বাগানগুলিতে সমস্যা হবে না। বড় চা বাগানগুলি টিডিএস এড়াতে চাইলে ব্যাঙ্ক, ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে মজুরি দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy