জিএসটি সংগ্রহ প্রত্যাশিত জায়গায় পৌঁছয়নি। প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহও থাকতে পারে লক্ষ্যমাত্রার থেকে কিছুটা পিছিয়ে। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় চলতি অর্থবর্ষের রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য ইন্ডিয়ান অয়েল এবং ওএনজিসির মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাছে দ্বিতীয় দফার অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ড দাবি করেছে কেন্দ্র। যদিও অল্প দিন আগেই এক বার অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ড দেওয়ায় এক কথায় সম্মতি জানাতে পারেনি সংস্থা দু’টি।
এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য ১৯ মার্চ পর্ষদের বৈঠক ডেকেছে ইন্ডিয়ান অয়েল। ওএনজিসি কেন্দ্রকে জানিয়েছে, এত তাড়াতাড়ি ফের অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ড দেওয়ার মতো আর্থিক পরিস্থিতি এখন তাদের নেই। এ ব্যাপারে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির সঙ্গে কথা বলতে হবে তাদের।
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, একই অর্থবর্ষে দ্বিতীয় বার অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ড দেওয়া নজিরবিহীন ঘটনা নয়। কিন্তু ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা কমানোর পাশাপাশি, তাকে ছোঁয়ার একাধিক মরিয়া পদক্ষেপের পরেও কেন্দ্রকে কেন তা করতে হচ্ছে, সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে তাদের।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ঘটনা হল, এপ্রিল থেকে জানুয়ারির মধ্যেই রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রার ১২১.৫% ছুয়ে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী বাজেটে চলতি অর্থবর্ষের রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ৩.৪% থেকে সংশোধন করে ৩.৩% করেছে কেন্দ্র। এই লক্ষ্য পূরণের জন্য বিভিন্ন ভাবে বিলগ্নিকরণ করেছে সরকার। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে দিয়ে অপর রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার অংশীদারি কিনিয়েছে। অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ড পেয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছেও। এর পরেও কেন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কাছে দ্বিতীয় বার অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ড চাইতে হচ্ছে, সে ব্যাপারেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy