খাতায়-কলমে দেখানো হচ্ছে সরকার চটের বস্তা কিনে নিয়েছে। সে জন্য হাওড়ার ঘুসুরির মিল থেকে বের করে তা মালগাড়িতে উঠিয়ে হরিয়ানা ও পঞ্জাবে খাদ্যশস্যের সরকারি গুদামে পাঠানোও হয়েছে। কিন্তু সেখানে তা গিয়েছে বলে খাতায় কলমে দেখানো হলেও তা আদপে গুদামে ঢোকেইনি। উল্টে ট্রাকে করে ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে বিক্রেতার মিলেই। উদ্দেশ্য, একই মালের ফের বিক্রি দেখিয়ে অন্য কাউকে সরবরাহ করা। শনিবার এ ধরনের বস্তা বোঝাই দু’টি ট্রাক ধরেছেন জুট কমিশনার দফতরের অফিসারেরা।
কেন্দ্রীয় জুট কমিশানার সুব্রত গুপ্তের অভিযোগ, ‘‘এক শ্রেণির অসাধু চটকল মালিক এবং কিছু সরকারি আধিকারিকের যোগসাজসেই এই রকম চুরি হচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, সরকার যে বস্তা কেনে তার গায়ে বিশেষ ছাপ মারা থাকে। সেগুলির নকশাও সাধারণ বস্তার থেকে আলাদা হয়। যে বস্তাগুলি ধরা পড়েছে, তা ওই বিশেষ নকশায় তৈরি হলেও তাতে ওই বিশেষ ছাপ ছিল না। সুব্রতবাবু বলেন, চুরির জন্যই চটকল মালিক বস্তার উপর ছাপ মারেননি।
ট্রাক দু’টি এ দিন ঘুসুরির দু’টি গুদামে যখন ঢোকানো হচ্ছিল, তখনই জুট কমিশনারের লোকেরা সেগুলিকে হাতেনাতে ধরেন। ট্রাক দু’টি আটক করে গুদামগুলি সিল করে দিয়েছেন তাঁরা। সুব্রতবাবুর দাবি, ‘‘এ রকম আরও গোটা পঞ্চাশ গুদামের খোঁজ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে।’’
জুট প্যাকেজিং মেটিরিয়াল আইন অনুযায়ী, ৬ হাজার কোটি টাকার মতো চটের বস্তা প্রতি বছর কেনে কেন্দ্র। ওই আইনের উদ্দেশ্য, চটকলের মজুরদের কাজ দেওয়া। সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘এ রকম চুরির ফলে শুধু যে সরকারের লোকসান হচ্ছে তা নয়, মজুররাও কাজের সুযোগ হারাচ্ছেন। কারণ, যে পরিমাণ বস্তা চুরি করে ফের বেচা হচ্ছে, তা আদতে চটকলে তৈরিই হচ্ছে না। অথচ সরকারি খাতায় তৈরি হিসেবেই দেখানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy