তেলের চড়া দাম নিয়ে আমজনতার ক্ষোভের আগুনেই ‘লঙ্কা পোড়ানোর’ পণ করছেন বিরোধীরা। তাই লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম যৌথ আন্দোলনে নামছে কংগ্রেস। পেট্রল, ডিজেলের আকাশছোঁয়া দামের প্রতিবাদে ১০ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ভারত বন্ধের ডাক দিল তারা। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য প্রতিবাদে থাকলেও বন্ধের ডাক দেবে না।
শুক্রবার পেট্রলের দাম এক লাফে বেড়েছে ৪৭ পয়সা। ডিজেল ৫২ পয়সা। ওই দুই জ্বালানির দাম পৌঁছেছে লিটারে যথাক্রমে ৮২.৮৮ এবং ৭৪.৯২ টাকায়। প্রতিদিন দর বদলের নিয়ম চালু হওয়ার পরে এক দিনে এতখানি তা বাড়ার কথা কেউ চট করে মনে করতে পারছেন না।
পড়ে চলেছে টাকাও। এ দিন আরও ২৪ পয়সা বেড়ে ডলার পৌঁছে গিয়েছে প্রায় ৭২ টাকায়। যার জেরে তেলের দর আরও বাড়ার সম্ভাবনা।
কৈলাস রওনা হওয়ার আগেই রাহুল গাঁধী কংগ্রেস নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিরোধীদের নিয়ে যৌথ কর্মসূচি আয়োজন করতে। যাতে সকলে মিলে চাপে ফেলা যায় মোদী সরকারকে। তাতেই বাছা হয়েছে এই বিষয়টি। কারণ, সাধারণ মানুষের সমস্যা তেলের দামের সঙ্গে জড়িত। প্রতিবাদে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা হচ্ছে চন্দ্রবাবু নায়ডুর মতো এনডিএ-র সঙ্গ ছাড়া নেতাদেরও।
আয়োজনের আহ্বায়ক কংগ্রেসের অহমেদ পটেল জানান, তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পওয়ার, বাম নেতাদের কথা হয়েছে। প্রায় সকলেই বন্ধে সামিল হতে রাজি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা বন্ধের ডাক দেবেন না। নিজেদের মতো করে প্রতিবাদে সামিল হবেন। তৃণমূল সূত্রের দাবি, এ বিষয়ে প্রতিবাদ তাঁরা অনেক আগেই শুরু করেছেন। আগামী দিনেও করবেন। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও বলেন, ‘‘এআইসিসি তৃণমূল বা অন্য দলের সঙ্গে মিলে প্রতিবাদ করতে বলেনি।’’
কংগ্রেস জানে, ভারত বন্ধ ডাকা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই আমজনতার সুবিধা কিছুটা কমাতে সকাল ৯ টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত কর্মসূচি রাখা হচ্ছে। মিছিল, জনসভা ছাড়াও শহর ও জেলায় পেট্রল পাম্পের সামনে ধর্নায় বসার পরিকল্পনা রয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘এক দিকে টাকা টানা পড়ছে। অন্য দিকে নাগাড়ে তেলের দাম বাড়ছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী দায় চাপাচ্ছেন বিদেশের ঘাড়ে। ২৯টি দেশকে সস্তায় পেট্রোপণ্য বেচে ভারত। অথচ দেশে শুল্ক চাপিয়ে ১১ লক্ষ কোটি টাকা লুট করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy