—প্রতীকী চিত্র।
মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব নিয়ে মোদী সরকারকে ধারাবাহিক আক্রমণ করে চলেছেন বিরোধীরা। শনিবার তাতে আরও কিছুটা মাত্রা যোগ করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। এক্স-এ সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে তাঁর বক্তব্য, ‘ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি’, ‘আর্থিক মন্দা’ এবং ‘বেকারত্ব’ নিয়ে দেশের প্রতি দু’জন মানুষের মধ্যে এক জন দুশ্চিন্তায়। আর মোদী সরকার এই সমস্ত বিষয় থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছে। নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘অহঙ্কারাচার্য’ বলে কটাক্ষ
করেছেন রমেশ।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার পরে যে কোনও সময়ে সাধারণ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। এই অবস্থায় যুযুধান পক্ষগুলি রোজ পরস্পরের উদ্দেশে তোপ দাগছে। এ দিন সংবাদমাধ্যমের খবর উদ্ধৃত করে রমেশ লিখেছেন, ‘‘অহঙ্কারাচার্যের মেহঙ্গায়িকালে ভারতবাসীদের প্রতি তিন জনের এক জন কাজ হারানোর সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগে ৫৭% মানুষ। গত এক বছরে আনাজপাতির দাম ১৫%-৬০% বেড়েছে। অন্যায়কালে প্রতি তিন জনের মধ্যে এক জন মূল্যবৃদ্ধির হার মাথাচাড়া দেওয়া, আর্থিক মন্দা, বেকারত্ব এবং দ্বন্দ্বের সমস্যায় ভুক্তভোগী। আর মোদী সরকার যথারীতি এগুলি থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করে চলেছে।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গত এক-দেড় বছর দেশের সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে জর্জরিত। সম্প্রতি খাদ্যপণ্যের দাম সামগ্রিক মূল্যবৃদ্ধিকেও অনেকটা উঁচুতে তুলে দিয়েছে। গত মাসে দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার পৌঁছে গিয়েছে ৫.৫৯ শতাংশে। চাল, ডাল, গম, আদা, রসুন, টোম্যাটোর দাম নিয়ে নির্বাচনের আগে কেন্দ্র নিজেও অস্বস্তিতে। সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা-সহ একাধিক পদক্ষেপ করেছে তারা। তাতেও যে সুরাহা বিশেষ মিলেছে এমনটা নয়। আবার এরই মধ্যে প্রভিডেন্ট ফান্ড সংস্থার (ইপিএফও) মতো সরকারি সংস্থার পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, নভেম্বরে সেখানে গ্রাহক নথিভুক্তি কমেছে। অক্টোবরে ১৫.২৯ লক্ষ মানুষ তাতে যোগ দিলেও নভেম্বরে দিয়েছেন ১৩.৯৫ লক্ষ। অথচ এই পরিসংখ্যানকে সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মসংস্থানের অন্যতম মাপকাঠি বলে দাবি করে সরকার। ফলে তাদের কাছে এই তথ্য অস্বস্তিকর।
রমেশের দাবি, সাধারণ মানুষকে বিচার দিতে কংগ্রেসের লড়াই চলবে। আজ, রবিবার পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি থেকে দলের নেতা রাহুল গান্ধীর ন্যায়যাত্রা ফের শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy