অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শীর্ষকর্তা— সকলেই বলেছিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক সংযুক্তির পরে গ্রাহকদের স্বার্থ কোনও ভাবেই ব্যাহত হবে না। আগে যে সব সুবিধা মিলছিল, পরেও তা বজায় থাকবে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বিপরীত ছবি। কোথাও বড় ব্যাঙ্কের সঙ্গে মেশার পরে তুলনায় ছোট ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের সেভিংস অ্যাকাউন্টে বাধ্যতামূলক ভাবে রাখা ন্যূনতম জমার (মিনিমাম ব্যালান্স) অঙ্ক বেড়েছে (সারণি দেখুন)। যা না-রাখতে পারলে কাটা হচ্ছে জরিমানা। কোথাও বেড়েছে পরিষেবা খরচ। অভিযোগ উঠছে, বহু ক্ষেত্রে নিয়ম পাল্টানোর বিষয়টি গ্রাহকদের এসএমএস অথবা অন্য কোনও ভাবে সরাসরি জানানোই হয়নি। যেমন, মিনিমাম ব্যালান্সের ক্ষেত্রে শাখায় নোটিস ঝুলিয়েই দায়িত্ব সেরেছে অধিকাংশ ব্যাঙ্ক। সীমার নীচে নামায় টাকা কাটার কথা এসএমএসে জানানোর পরেই তা নজরে এসেছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে ব্যাঙ্ক পরিষেবার আওতায় আনার কথা বারবারই বলে সরকার। কিন্তু করোনার আবহে যখন রুজি-রোজগার হারিয়ে ধুঁকছেন মানুষ, তখন এ ভাবে ন্যূনতম জমা বাড়ানো এবং তা না-থাকলে টাকা কাটায় তাঁরা আরও বেশি করে ব্যাঙ্ক বিমুখ হবেন না? এই সিদ্ধান্ত কি উল্টে তাঁদের আরও বেশি সঙ্কটের মুখে ঠেলে দেবে না? তার উপরে পরিষেবার খরচের কথা ঠিকমতো না-জানানো নিয়েও ক্ষোভ বাড়ছে গ্রাহকদের মধ্যে। অনেকেরই প্রশ্ন, অতিমারির কারণে ব্যাঙ্কেই যেতে পারননি গ্রাহক, বিশেষত প্রবীণেরা। সেখানে শুধু শাখায়
নোটিস ঝুলিয়ে দায়িত্ব সারলেই হবে?