প্রতীকী ছবি।
লকডাউন ব্যবসা কেড়েছিল। আনলকে কাড়ছে নেট বাজার, অভিযোগ দোকানে পসরা সাজিয়ে বসা খুচরো ব্যবসায়ীদের। উৎসবের মরসুমে বিক্রি বাড়ার অপেক্ষায় ছিলেন যাঁরা, তাঁদের অনেকেরই আশঙ্কা বাড়ছে মুনাফা নিয়ে। অভিযোগ, কেনাকাটা বাড়লেও সব ইট-কাঠ-পাথরের দোকান তার সুফল পাচ্ছে না। সিংহভাগই টেনে নিচ্ছে ই-কমার্স সংস্থাগুলি। তাঁদের দাবি, দামে বিপুল ছাড় বা ক্যাশ ব্যাকের যে গাজর ঝুলিয়ে ক্রেতা টানছে নেট বাজার, বাস্তবে তা সত্যি দিচ্ছে কি না খতিয়ে দেখা জরুরি। এই আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ব্যাপার মণ্ডল। ফ্লিপকার্ট, অ্যামজ়নের কাছে এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলেও রাত পর্যন্ত উত্তর মেলেনি।
ব্যাপার মণ্ডলের সেক্রেটারি জেনারেল ভি কে বনসাল জানান, ‘‘গত বার ব্যবসা হয়েছিল ৫০ হাজার কোটি টাকার। ২০ হাজার কোটি করেছিলাম আমরা। ই-কমার্সগুলি ৩০ হাজার কোটি। এ বার আমাদের ব্যবসা ১৫ হাজার কোটিতে নামতে পারে। ওদের ছুঁতে পারে ৫০ হাজার কোটি।’’
প্রতিযোগিতার বাজারে ছাড় দিয়ে ক্রেতা টানা তো বেআইনি নয়? উত্তরে কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, ‘‘ওই সব সুবিধা ই-কমার্সগুলি সত্যি দিচ্ছে কি না তদন্তের দাবি জানিয়েছি কেন্দ্রের কাছে। দামে ছাড় দিতে গিয়ে বিধি ভাঙা হচ্ছে কি না কিংবা জিএসটি ফাঁকি পড়ছে কি না, তা-ও দেখা জরুরি।’’
উদ্বেগের কারণ
• উৎসবের মুখে বিক্রি বাড়ানোর সুযোগ খুললেও ই-কমার্স সংস্থাগুলির কাছে ব্যবসা হারাতে হচ্ছে।
• অনলাইন বাজারগুলি ক্রেতাদের দামে ছাড়, ক্যাশ ব্যাকের মতো যে সব সুবিধা দেয়, ইট-কাঠ-পাথরের দোকানের পক্ষে তা দেওয়া সম্ভব নয়।
• ব্যাপার মণ্ডলের হিসেব, এ বার উৎসবের সময়ে ই-কমার্সগুলির ব্যবসা ২০ হাজার কোটি বাড়বে। যেখানে খুচরো দোকানগুলির কমবে ৫০০০ কোটি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy