পেট্রোটেকে প্রধানমন্ত্রী। পিটিআই
অশোধিত তেলের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আরও অনেক বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও দেশগুলিকে আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহ্বান জানালেন, তেল ও গ্যাসের বাজারে দরের ওঠা-পড়া থেকে শুরু করে সব বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা আনার জন্যও। কিন্তু তা শুনে বিরোধীদের কটাক্ষ, দেশে পেট্রল, ডিজেলের দর আকাশ ছুঁলে তার দায়িত্ব কেন এড়িয়ে যায় মোদী সরকার? উৎপাদন শুল্কের বোঝা কমিয়ে কেন চেষ্টা করা হয় না আমজনতাকে সুরাহা দেওয়ার?
সোমবার পেট্রোটেক ২০১৯-এর মঞ্চে মোদী বলেন, ‘‘তেলের দাম ঠিক করার ক্ষেত্রে আমাদের আরও অনেক বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। এমন ভাবে তা করা উচিত, যাতে সংস্থার মুনাফা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের স্বার্থও রক্ষিত হয়।’’
কিন্তু মোদীর এই বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের মতে, যে দেশকে ৮০ শতাংশের বেশি তেল এবং প্রায় অর্ধেক গ্যাস আমদানি করতে হয়, তার প্রধানমন্ত্রীর এই চিন্তা স্বাভাবিক। কিন্তু তা হলে মাস কয়েক আগে দেশে পেট্রল, ডিজেলের দাম যখন আকাশছোঁয়া হয়েছিল, তখন আমজনতার কথা মাথায় রেখে কেন উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটেনি মোদী সরকার। বিশেষত যেখানে তার আগে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর কম থাকার সুযোগ নিয়ে নাগাড়ে ওই কর বাড়িয়ে গিয়েছিল তারা।
আরবের আগ্রহ: ভারতে তেলের বিপুল বাজার এবং দ্রুত বাড়তে থাকা চাহিদার কথা মাথায় রেখে এ দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। তেল শোধন, খুচরো বাজারে তেল বিক্রি (পেট্রল পাম্প), পেট্রোকেম প্রকল্প এবং এ দেশের ভাঁড়ারে আরও বেশি করে অশোধিত তেল সঞ্চয়ে লগ্নি বাড়াতে আগ্রহী তারা। মহারাষ্ট্রে রত্নগিরির ৪,৪০০ কোটি ডলারের পেট্রোকেম প্রকল্পে টাকা ঢালার কথা জানিয়েছে আবু ধাবি ন্যাশনাল অয়েল এবং সৌদি অ্যারামকো। কর্নাটকে অশোধিত তেলের ভাঁড়ার তৈরিতেও হাত দিয়েছে তারা। এ সবের পরে ভারতে লগ্নি তাঁরা দ্রুত বাড়াতে চান বলে আরব আমিরশাহির মন্ত্রী সুলতান আহমেদ আল জাবেরের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy