—প্রতীকী চিত্র।
মার্চ থেকে অগস্ট পর্যন্ত ছ’মাস ধরে ভারতের শেয়ার বাজারে ১.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা ঢেলেছিল বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। কিন্তু তার পর লাগাতার শেয়ার বিক্রির পথে হাঁটছে তারা। সেপ্টেম্বরে সংস্থাগুলি ১৪,৭৬৭ কোটি টাকা তুলে নিয়েছিল। আর অক্টোবরে এখনও পর্যন্ত (১৩ অক্টোবর) সেই অঙ্ক ৯৭৮৪ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকায় বন্ড বা ঋণপত্রের ইল্ড বাড়ছে। তাই ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশ থেকে সরছে বিদেশি লগ্নিকারীরা। বন্ড থেকে প্রাপ্য সুদ বা কুপন রেট ও বন্ডের বাজার দর মিলিয়ে যে মুনাফা হাতে আসে তা মোট লগ্নির অনুপাতে যতটা, সেটাই তার ইল্ড বা প্রকৃত আয়। ইল্ড বেশি হলে লগ্নিকারীদের লাভ। তার উপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই ইজ়রায়েল-হামাসের সংঘাতে অশান্ত পশ্চিম এশিয়া বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এই কারণেও বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলিতে ভরসা রাখতে পারছে না। ভারতের মতো বহু দেশের শেয়ার সম্পর্কে তারা সতর্ক। মুনাফা তুলছে। তবে এ দেশের ঋণপত্রে তহবিল ঢালছে এখনও।
সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়লে এবং তা মূল্যবৃদ্ধিকে ঠেলে তুললে শেয়ার বাজার থেকে বিদেশি লগ্নির প্রস্থান জারি থাকতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy