E-Paper

পর্যটনের নেট বাজারে বাড়ছে প্রতারণা

পর্যটকদের ঘোরার হোটেল বা হোম স্টে-র বুকিং থেকে পরিবহণ, সব ক্ষেত্রেই নানা ভাবে ব্যবসায় যুক্ত প্রচলিত পর্যটন সংস্থাগুলি। ডিজিটাল দুনিয়ার রমরমা ইন্ধন জুগিয়েছে অনলাইন ব্যবসাতেও।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৩ ০৬:১২
An image representing fraud cases

পর্যটন শিল্পকে ঘিরে অনলাইনে ছড়ানো ব্যবসায় বিপুল বেড়েছে প্রতারণার ঘটনা। প্রতীকী চিত্র।

অতিমারিতে দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল পর্যটন ক্ষেত্র। পরে ধাপে ধাপে খুলতেই বহু জায়গায় কার্যত আছড়ে পড়েছ কোভিডকালে ঘরবন্দি পর্যটকদের স্রোত। এই তুমুল চাহিদার দরুন প্রথাগত পর্যটন ব্যবসার পাশাপাশি অনলাইন মঞ্চেও ভিড় বেড়েছে বহু গুণ। এক সমীক্ষার রিপোর্ট জানিয়েছে, পর্যটন শিল্পকে ঘিরে অনলাইনে ছড়ানো ব্যবসায় বিপুল বেড়েছে প্রতারণার ঘটনা। সেখানে দাবি, ভারত-সহ সাতটি দেশকে নিয়ে করা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অনলাইনে বুকিং করে বহু পর্যটক প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন এবং তাঁদের অনেক টাকা ক্ষতি হয়েছে।

পর্যটকদের ঘোরার হোটেল বা হোম স্টে-র বুকিং থেকে পরিবহণ, সব ক্ষেত্রেই নানা ভাবে ব্যবসায় যুক্ত প্রচলিত পর্যটন সংস্থাগুলি। পাশাপাশি ডিজিটাল দুনিয়ার রমরমা ইন্ধন জুগিয়েছে অনলাইন ব্যবসাতেও। সেখানে নামী-দামি পর্যটন সংস্থার পাশাপাশি অনেক অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত হোটেল প্রচার নামে। ‌ডিজিটাল প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত পর্যটকদের একাংশ যেমন সে দিকে ঝোঁকেন, তেমনই নানা ছাড় বা বাড়তি সুবিধা মেলাতেও অনেকের নজর থাকে অনলাইন বাজারে।

ম্যাকফি কর্পোরেশন ৭০০০ পর্যটককে নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল। ‘সেফার হলিডেজ়’ শীর্ষক সেই সমীক্ষা রিপোর্টে তারা দাবি করেছে, ৫১% ভারতীয় জানিয়েছেন, কিছু টাকা সাশ্রয় করতে গিয়ে তাঁরা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। অনলাইনে বুকিং করতে গিয়ে যাঁদের টাকা চুরি গিয়েছে, তাদের ৭৭ শতাংশের ভ্রমণ শুরুর আগেই ১০০০ ডলার (প্রায় ৮৩ হাজার টাকা) পর্যন্ত খোয়া গিয়েছে।

সমীক্ষা বলছে, ৬৬% ভারতীয় এ বছর দেশের মধ্যে এবং ৪২% বিদেশে বেড়াতে যেতে ইচ্ছুক। নানা কারণে অনলাইনে বেড়ানোর পরিকল্পনা সেরে ফেলার ঝোঁকেরও অবশ্য ইঙ্গিত মিলেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, এখনকার আর্থিক পরিস্থিতিতে পকেট বাঁচাতে প্রায় ৫৪% ভারতীয় অনলাইনে কম দামের খোঁজে থাকেন। ৫০% দ্রুত সেই চুক্তি সেরে ফেলতে আগ্রহী। নতুন বুকিং-এর ঠিকানা (সাইট) খোঁজেন প্রায় ৪৪%। প্রায় ৪৭% নতুন গন্তব্যেরও খোঁজ করেন অনলাইনের পর্দায়।

প্রতারণারও রকমফের রয়েছে। ২৭% জানিয়েছেন, বুকিংয়ের টাকা মেটাতে গিয়ে জাল লেনদেনের মঞ্চ মারফত প্রতারিত হয়েছেন তাঁরা। ৩৬ শতাংশের পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য চুরি হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৩% পাসপোর্ট এবং ২৩% অন্যান্য পরিচয়পত্র দিয়েছিলেন জাল ওয়েবসাইটে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

tourism Fraud Case Online Scam Cyber Crime

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy