পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) জমানায় পাল্টাচ্ছে সংস্থাগুলির রিটার্ন জমার পদ্ধতি। আর তা-ই খুলে দিয়েছে নতুন ব্যবসার দরজা। তৈরি হচ্ছে জিএসটি-র সহায়ক শিল্প।
মূলত ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলিকে নতুন কর কাঠামোর সঙ্গে সড়গড় করছে এক ঝাঁক জিএসটি সহায়ক সংস্থা। প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার বাজার ধরতে বহুজাতিকদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে স্টার্ট-আপ দুনিয়াও।
নতুন কর ব্যবস্থায় শুধু সংস্থার খোলনলচে বদলানো নয়, চাই প্রতি মাসে কর ‘রিটার্ন’ জমার ব্যবস্থাও। ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে (২০১৩) বলছে দেশে নথিভুক্ত ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীর সংখ্যা ৫৭.৭ কোটি। এ ছাড়া রয়েছে কয়েক কোটি নেট ও অফলাইন বিপণি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মাসে প্রায় ৫০০ কোটি রিটার্ন জমা পড়বে। আর এই ব্যবসার টানেই ঝাঁপাচ্ছে সহায়ক সংস্থাগুলি। যার মধ্যে রয়েছে ইনফোসিসের প্রাক্তন দুই কর্মীর সংস্থা জিএসটি স্টার, অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার সংস্থা মার্গ ইআরপি ও ইন্ডিয়া ফাইলিংস, কর উপদেষ্টা সংস্থা ক্লিয়ার ট্যাক্স ইত্যাদি।
মার্গ ইআরপির মুখপাত্রের দাবি, দু’বছরে এই কাজ থেকেই ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে। চাহিদার হিসেব কষেই পুঁজি ও কর্মী সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান ইন্ডিয়া ফাইলিংসের প্রধান লায়নেল চার্লস। এই শিল্পের বাজারের ১০% দখলের লক্ষ্যে তাঁরা এগোচ্ছেন বলে দাবি জিএসটি স্টারের কর্তা শৈলেশ অগ্রবালেরও।
জিএসটি প্রাণ ঢেলেছে তথ্য-প্রযুক্তি শিল্পেও। স্যাপ, মাইক্রোসফট, ওরাক্ল, ইনফোসিস, টিসিএসের মতো সংস্থাও ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলিকে সফটওয়্যার ও পরামর্শ দিচ্ছে। আর এই প্রতিযোগিতাতেই বড়দের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে ছোটরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy