ধর্মেন্দ্র প্রধান, তেলমন্ত্রী।
কর বাবদ আয় কমার আশঙ্কায় জিএসটিতে পেট্রল-ডিজেলকে ঢোকানো নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিভিন্ন রাজ্যের। অর্থ মন্ত্রকও সেটা তেমন চায় না। এই পরিস্থিতিতে পেট্রল-ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুক্রবার এগুলিকে জিএসটির আওতায় আনা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে ফের সওয়াল করলেন খোদ কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানই। কিন্তু একই সঙ্গে উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা ওড়ালেন। তবে দাবি করলেন, ‘‘রাজ্য পেট্রল, ডিজেলের কর কমালে বোঝা কমবে সাধারণ মানুষের।’’
এ দিকে লিটারে প্রায় ৮৩ টাকা ছুঁইছুঁই পেট্রলের দাম ও টাকা নিয়ে এ দিন ফের নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে একহাত নিয়েছে কংগ্রেস। তাদের কটাক্ষ, তা হলে কি এই সরকারের জমানায় একশো ছোঁবে ওই জ্বালানি! যা অবস্থা তাতে হাসপাতালে যাওয়ার জোগাড় তো টাকারও। কংগ্রেস মুখপাত্র আর পি এন সিংহের দাবি, ১০ তারিখ তাঁদের ডাকা ভারত বন্ধ শুধু কংগ্রেসের নয়, আসলে আমজনতার প্রতিবাদ।
প্রধান বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে পেট্রল-ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনা একান্তই জরুরি হয়ে পড়ছে। না হলে দেশের ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। এই দুই জ্বালানি জিএসটির আওতায় এলে ক্রেতা-সহ সব পক্ষেরই সুবিধা হবে।’’
তবে এটা কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। জিএসটিতে এলে সর্বোচ্চ করের হার ২৮ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। আর রাজ্যগুলিরও কর বাবদ আয় কমার সম্ভাবনা। বিহারের মতো বিজেপিশাসিত বহু রাজ্যেরও এতে আপত্তি রয়েছে। বরং রাজস্ব বাবদ বর্তমান আয় ধরে রাখতে সে ক্ষেত্রে বাড়তি সেস বসানোরও দাবি তুলছে তাদের একাংশ।
তবে উৎপাদন শুল্ক ছেঁটে তেলের দাম কমানোর যে দাবি উঠছে, তাতে আমল দিতে রাজি নন প্রধান। এ জন্য অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির মতো তাঁরও দাবি, বিশ্ব বাজারের প্রভাবেই সঙ্কট বাড়ছে। তবে প্রধান রাজ্যের শুল্ক কমিয়ে আমজনতাকে স্বস্তি দেওয়ার কথাও বলেছেন।
অনেকেই বলছেন, প্রধান এ নিয়ে অনেকবারই তেলে জিএসটি বসানোর কথা বললেন ঠিকই। কিন্তু তার দরুন সত্যিই পেট্রল, ডিজেলের দাম কমবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, রাজ্যগুলি তার উপরে সেস বসাতে সরব। আবার কর আদায় কমলে তা সামাল দিতে মুশকিলে পড়বে কেন্দ্রও। কঠিন হবে ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy