প্রতীকী ছবি।
অশোধিত তেলের চড়া দর আঘাত করবে সবেমাত্র ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করা বিশ্ব অর্থনীতিকে। ফলে আটকে যাবে সেই প্রক্রিয়াটাই। সোমবার সরকারি সূত্রের দাবি, তেল রফতানিকারী দেশগুলিকে ফের এই বার্তা দিয়েছে ভারত। এক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, অশোধিত তেলের দাম নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও দাবি করেছেন, এটা একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। বিষয়টি ঘিরে অনিশ্চয়তা অর্থনীতিকে ছন্দে ফেরানোর বেশ কিছু পরিকল্পনায় জল ঢালতে পারে।
ওই সংবাদমাধ্যম সূত্র বলছে, নিউ ইয়র্কে আমেরিকার প্রথম সারির সংস্থাগুলির সিইও-দের সঙ্গে আলোচনায় নির্মলা বলেছেন, ‘‘এই অনিশ্চয়তা আমার কাছে একটা বিরাট ব্যাপার, যেটা এখনও অনুমান করা অসম্ভব এবং আমি জানি না অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি থেকে কতটা বিমুখ হতে হবে, এটাই একটা চ্যালেঞ্জ।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোদী সরকারের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এ দিন জানান, ভারত সৌদি আরব-সহ তেল রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক-কে বলেছে, বিধ্বংসী অতিমারির মুখে পড়ার পরে অর্থনীতি সবেমাত্র নতুন করে প্রাণ পেতে শুরু করেছে। এমন সময় চড়া দামের তেল সেই প্রক্রিয়ায় প্রবল আঘাত হানবে।
এ দেশে প্রয়োজনের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ তেল পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির থেকে কেনে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারী ভারত। তা-ই এখন ব্যারেল প্রতি ৮৪-৮৫ ডলারে বিকোচ্ছে। দেশে পেট্রল-ডিজ়েলের চড়তে থাকা দামের জন্য ওপেক-কে দায়ী করছে মোদী সরকার। ওই আধিকারিক বলেন, উৎপাদক এবং ক্রেতা, দু’পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে এমন ভারসাম্য আনতে হবে তেলের দামে। ভারত রফতানিকারী দেশগুলিকে বলছে, চাহিদার তুলনায় জোগান কম বলেই দাম এত চড়া। এটা উৎপাদনের পরিবেশ বিরোধী। ফলে তড়িঘড়ি বিকল্প জ্বালানির কথা ভাবতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy