Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

চুড়োয় লগ্নি

বাজার যখন চুড়োয়, তখন ধস নামার ভয় থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা বলে কি পথই মাড়াবেন না শেয়ারের? বুঝে পা ফেললে কিন্তু অপেক্ষায় থাকতে পারে নতুন শৃঙ্গও। জানাচ্ছেন নীলাঞ্জন দেবাজার যখন চুড়োয়, তখন ধস নামার ভয় থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা বলে কি পথই মাড়াবেন না শেয়ারের?

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৭ ০২:২৯
Share: Save:

বেশ কয়েক মাস ধরেই চড়চড়িয়ে বাড়ছে শেয়ার বাজার। নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ছে সেনসেক্স ও নিফ্‌টি। কিন্তু লগ্নিকারীদের অনেকেই দিশেহারা। ভয়, এই বুঝি বড়সড় পতন হল বাজারে। সাধারণত যার সম্ভাবনা থাকে বলেই এই উঁচু বাজারে টাকা ঢালা ঠিক হবে কি না, তা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। তার উপর গত দু’দিনে বাজার কিছুটা পড়েওছে। এই অবস্থায় শেয়ারে টাকা ঢালতে কোন পথে এগোবেন, তা ভেবে আতান্তরে সাধারণ মানুষ। তাই আজ এই চড়া বাজারে শেয়ারে টাকা ঢালতে গেলে কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত, তা নিয়েই কথা বলব আমরা।

দ্বিধায় সবাই

আমাদের মধ্যে সাধারণত তিন ধরনের মানুষ শেয়ারে টাকা রাখেন বা সে কথা ভাবছেন—

প্রথম, যাঁরা এত দিন পর্যন্ত শেয়ারকে দূরে রেখেছেন। অথচ এখন পড়তি সুদের জমানায় বুঝতে পারছেন, সেখানে পা না-রেখে গতি নেই। কিন্তু চড়া বাজারে কী ভাবে তা করবেন, জানেন না।

দ্বিতীয়, বাজারে সদ্য পা রাখা লগ্নিকারীরা। যাঁরা শেয়ারের দাম অল্প বাড়লে উৎসাহী, আর সামান্য পতনে হতাশ। হয়তো না-বুঝেই বেশি লাভের আশায় চড়া দামে শেয়ার কিনে বসে রয়েছেন।

তৃতীয়, পোড় খাওয়া লগ্নিকারীরা। তাঁরা দীর্ঘ দিন বাজারের উত্থান-পতনের সাক্ষী। এখন হয়তো ভাবছেন, উঁচু বাজারে মুনাফা তুলবেন, না কি অপেক্ষা করবেন আর একটু বেশি রিটার্নের জন্য।

অর্থাৎ, এই বাজারে সবাই কিছুটা দ্বিধায়।

চড়া বাজারের যুক্তি

প্রথমেই সবার মনে প্রশ্ন আসছে, বাজার এত বাড়ছে কেন? আসুন দেখে নিই সংক্ষেপে এর কারণ—

•• ভারত ও বিশ্ব অর্থনীতি ঘিরে আশঙ্কার মেঘ কিছুটা সরে যাওয়া। আগামী দিনে অর্থনীতির পালে হাওয়া লাগার ইঙ্গিত। বিশ্বের অন্যান্য বাজারের উত্থান।

•• সুদের কম হার। এতে এক দিকে বাড়ি-গাড়ি ঋণের চাহিদা বা়ড়বে, তেমনই শিল্পও নতুন লগ্নিতে আগ্রহ দেখাবে বলে ধারণা। যার আশায় ইতিমধ্যেই অনেকটা বেড়েছে বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দর।

•• অনুৎপাদক সম্পদের বোঝায় ধুঁকতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ২.১১ লক্ষ কোটি টাকা জোগানো হবে বলে কেন্দ্রের ঘোষণা। এতে হঠাৎই চাহিদা বে়ড়েছে তাদের শেয়ারের। ফলে উঠেছে তাদের দরও।

•• কেন্দ্র আরও সংস্কারের পথে হাঁটবে বলে ধারণা।

এই সবেরই সম্মিলিত প্রভাব পড়েছে বাজারে।

পতন কি হবেই?

বাজার যত উপরে উঠছে, ততই বড় পতনের ভয় চেপে বসছে অনেক লগ্নিকারীর মনে। কিন্তু সূচক পড়বেই কি না, এক কথায় এর উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়।

তবে সাধারণত দেখা যায়, কম সময়ে বেশি উপরে উঠে গেলে বাজারের নিয়মেই সংশোধন বা কারেকশন হয়। গত দু’দিনে সৌদি আরবের খবরে যেমন হয়েছে। কারণটা আর কিছুই নয়। লগ্নিকারীরা মনে করেন যদি বাজার হঠাৎ পড়ে যায়! তা হলে সেই ঝুঁকি কে নেবেন? তাই তাঁরা হাতের শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেন। ফলে বাজারে শেয়ারের জোগান বাড়ে। তার দাম কমে।

কিছু দিন পরে সেই ভয় কেটে গেলে আবার শেয়ারে টাকা ঢালতে থাকেন তাঁরা। ফলে উঠতে থাকে বাজার।

তা হলে উপায়?

যাঁরা সদ্য বাজারে পা রেখেছেন, তাঁদের মনে হতেই পারে যে সূচক যখন রকেট গতিতে উপরে উঠছে, তখন টাকা ঢালতে সমস্যা কোথায়? সোজা কথায় বলতে গেলে বাজার যত উপরের দিকে পৌঁছয়, সেখানে ঝুঁকির মাত্রাও তত বাড়ে। তাই এই উঁচু বাজারে টাকা ঢালার সময়ে অতিরিক্ত সাবধান হতেই হবে। কী ভাবে এগোবেন? চলুন দেখি।

প্রথম পাঠ

অন্যদের রয়েছে, তাই আমারও থাকতে হবে। সাধারণত এ ভাবেই ভাবতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। তা সে বন্ধুবান্ধবের হাতে থাকা দামি মোবাইলই বলুন বা নামী ব্র্যান্ডের পোশাক। কিন্তু এই ভাবনা নিয়ে যদি শেয়ারের দুনিয়ায় আসেন, তা হলে পা পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, এক সাইজের জামা যেমন সবার গায়ে হয় না, তেমনই একই ফান্ড বা শেয়ার সকলের জন্য নয়। এ কথা বিশেষ ভাবে প্রযোজ্য উঁচু বাজারে।

ধরুন, আপনার এক বন্ধু ‘ক’ সংস্থার শেয়ারে টাকা ঢেলে মোটা টাকা মুনাফা করছেন। তা দেখে উৎসাহী হয়ে আপনি সেই শেয়ারই কিনে ফেললেন। অথচ পরে দেখলেন অল্প পতনে বড় লোকসানের মুখে পড়েছেন। ভাবলেন না যে, আপনার বন্ধু হয়তো সেই শেয়ার কিনেছেন এক বছর আগে। অনেক কম দামে। তাই তিনি এখন হাতের শেয়ার বেচে মুনাফার টাকা ঘরে তুলছেন। আর আপনি চড়া বাজারে তা কিনে ঠকছেন।

এখানে একটা কথা বলে রাখি। আঁচ করা সম্ভব নয় এমন কোনও কারণে (যেমন ২০০৮ সালের মন্দা) যদি বিশ্ব জুড়ে বাজার হুড়মুড়িয়ে পড়ে, তবে তা হলে কারওরই কিছু করার নেই। কিন্তু বাজার যখন তুঙ্গে, তখন যে কোনও শেয়ার কেনার ‘প্ররোচনায়’ গা না ভাসিয়ে একটু কৌশলী হওয়াই ভাল। তাই আপনার উপযুক্ত ফান্ড বা শেয়ার কোনটা, প্রথমেই তা বুঝতে হবে। আর সেই অনুসারে লগ্নি সাজাতে হবে।

কী করবেন?

লগ্নি নিয়ে অযথা জটিল চিন্তাভাবনা করবেন না। ঠান্ডা মাথায় যদি বুঝেশুনে টাকা রাখা যায়, তা হলে কিন্তু উঁচু বাজারও আপনার প্রতি দরাজ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখুন—

কতটা শেয়ারে

সঙ্গের সারণি দেখুন। এখানে বলেছি বেশি ঝুঁকি নিতে চাইলে কী ভাবে এগোতে পারেন। আর কম ঝুঁকির ক্ষেত্রে কোন পথ ভাল। তবে মনে রাখবেন সবার জন্য তা সমান নয়। কারণ আপনার ঝুঁকি নেওয়ার ইচ্ছে ও ক্ষমতা অনুসারে সেই অংশ আলাদা। তাই যত টাকা জমাতে চান, তার মধ্যে কত অংশ শেয়ারে লগ্নি করবেন, প্রথমে সেই সিদ্ধান্ত নিন।

শেয়ারেও রেকারিং

প্রতি মাসে ব্যাঙ্ক-ডাকঘরে রেকারিং ডিপোজিটে নির্দিষ্ট অঙ্ক টাকা জমা আমরা অনেকেই করি। শেয়ারেও মেনে চলুন সেই পদ্ধতি। সঞ্চয়ের মোট যত অংশ শেয়ারে খাটাবেন বলে ঠিক করেছেন, তা ভাঙুন নির্দিষ্ট অঙ্কে। এ বার সুযোগ বুঝে সেই টাকার শেয়ার কিনতে থাকুন।

ধরুন, শেয়ারে ৫০,০০০ টাকা ঢালতে চান। তা হলে ওই তহবিলই ভেঙে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ৫ হাজার করে লগ্নি করুন। এতে দামের ওঠা-পড়ার আঁচ এড়াতে পারবেন। এক সঙ্গে সব টাকা জলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। আবার পছন্দের শেয়ারও হাতে আসবে।

ভেবে চিন্তে বাছুন

শুধু সূচক বাড়ছে বলেই শেয়ার কিনবেন না। বরং যে সংস্থা বাছছেন, তাদের আর্থিক জোর, পরিচালন ব্যবস্থা, দীর্ঘ মেয়াদে তার ব্যবসার লক্ষ্য ও আধিপত্য বজায় থাকার সম্ভাবনার মতো বিষয় খেয়াল রাখুন। যাঁরা প্রথম শেয়ার বাজারে পা রাখতে চান, তাঁরা প্রতিষ্ঠিত সংস্থা বাছতে পারেন। এগুলির বহু দিনের ইতিহাস নেট ঘাঁটলে পেয়ে যাবেন। ফলে বাছাইয়ে সুবিধা হবে। তবে খেয়াল রাখবেন, এখন অনেক শেয়ারের দামই ঘোরাঘুরি করছে সর্বোচ্চ অঙ্কে। ফলে সতর্ক থাকুন।

বেশি ছড়াবেন না

লগ্নি করতে হবে বলেই একগাদা সংস্থার শেয়ারে টাকা ঢালবেন না। বরং সীমিত সংখ্যক ভাল শেয়ার কিনুন। সময়-সুযোগ বুঝে সেই শেয়ারের সংখ্যা বাড়ান।

ভাবুন দীর্ঘ মেয়াদে

শেয়ার বাজারে মুনাফার প্রথম শর্তই হল, এখানে দীর্ঘ মেয়াদে টাকা ধরে রাখা। যে-কারণে বলা হয় পছন্দমতো রিটার্ন না-মেলা পর্যন্ত তা বিক্রি না-করতে। ধৈর্যের বিকল্প নেই। ফলে সামান্য পতনে আতঙ্কিত হবেন না।

ঝোপ বুঝে কোপ

যদি আপনি বেশি ঝুঁকি নিতে রাজি না-হন এবং দেখেন যে, চড়া বাজারে দর ভাল উঠেছে, তখন তা বিক্রি করে মুনাফা ঘরে তুলতে পারেন। পুরো টাকা তুলতে না-চাইলে একটা অংশ বিক্রি করে বাকিটা ধরে রাখুন।

আবার যখনই দেখবেন শেয়ারের দামে বেশ ভাল পতন হয়েছে, তখনই তাতে লগ্নি করুন। বাজার যখন চড়া, তখন এই পদ্ধতি বেশ কাজে দেয়।

তবে এক বার যদি শেয়ার বিক্রি করেন এবং দেখেন তার দাম আরও বাড়ছে, তখন আফসোস করবেন না। এতে পরে শেয়ার বাছাইয়ে অসুবিধা হতে পারে।

চিরন্তন সত্য

উঁচুই হোক বা ঝিমিয়ে থাকা বাজার। শেয়ারে লগ্নির কিছু চিরন্তন নিয়ম আছে। সেগুলি হল—

•• লগ্নির ক্ষেত্রে নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিন।

•• নিয়মিত পোর্টফোলিও-য় নজর রাখুন। খবর রাখুন সংস্থা ও বাজার সম্পর্কে।

•• লগ্নি-কৌশল বেশি বদলাবেন না। অবস্থা দেখে বদল জরুরি। কিন্তু তা বলে প্রতি দিনই পাল্টানো ঠিক নয়।

•• কতটা রিটার্ন আশা করেন, সে সম্পর্কে যেন স্পষ্ট ধারণা থাকে। যদি দেখেন লক্ষ্যে পৌঁছেছেন, তা হলে শেয়ার বেচে বেরিয়ে আসুন।

•• ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা মাথায় রাখুন। বাড়তি লাভের আশায় বেশি ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। তাই কম ঝুঁকি পছন্দ হলে, কম থেকে মাঝারি রিটার্নে খুশি থাকুন।

•• স্বল্প মেয়াদে যে সব শেয়ারের দাম খুব বেশি ওঠা-নামা করছে, সেখানে টাকা ঢালার আগে সাবধান থাকুন। বাজারে কোনও সংস্থা নিয়ে জল্পনা চলছে, এমন শেয়ারে হঠাৎ করে টাকা ঢালবেন না।

•• শেয়ারের দর প্রতিদিন ওঠা-নামা করবেই। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

•• কোনও শেয়ার কেনা মানে আপনি সেই সংস্থার অংশীদার। সংস্থাগুলি নানা সময়ে নিজেদের তথ্য নেটে দেয় বা ই-মেল মারফত পাঠায়। সেগুলি মন দিয়ে পড়ুন। খেয়াল রাখুন দীর্ঘ মেয়াদে তাদের সুনাম, ব্যবসা বৃদ্ধির সম্ভাবনা ইত্যাদি প্রশ্নের মুখে পড়ছে কি না।

গন্তব্য এক, পথ আলাদা

অনেকে হয়তো ভাবছেন, এখন সেনসেক্স ৩৩ হাজারে। তা একটু পড়লে শেয়ারে টাকা ঢালব। কিন্তু কয়েক মাস পরে হয়তো দেখলেন সেটাই পৌঁছে গিয়েছে ৩৫ হাজারে। তখন হাত কামড়ানো ছাড়া উপায় নেই। তাই যাঁরা সরাসরি শেয়ার না-কিনেও, তাতে টাকা ঢালতে চান, তাঁরা বেছে নিতে পারেন ইকুইটি ফান্ড।

ঘুরপথে শেয়ার

সরাসরি বাজারে লগ্নি বা ইকুইটি ফান্ডের টাকা, দুই-ই খাটে বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারে। তফাত শুধু নিজের হাতে পুরো বিষয়টি ধরে না-রেখে, ফান্ড সংস্থাকে সেই কাজ করতে দেওয়া। এর আগে শেয়ারে রেকারিংয়ের কথা
বলেছি। তেমনই উঁচু বাজারে এক বারে টাকা না-রেখে, ইকুইটি ফান্ডে লগ্নির জন্য বাছতে পারেন সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (এসআইপি) পদ্ধতি। এতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টাকা ঢালতে হয়। তাই ঝুঁকি কম।

ভয়ে বিক্রি নয়

শেয়ার বাজারের যুক্ত যে-কোনও প্রকল্পে রিটার্নের গ্যারান্টি নেই। কিন্তু চড়া বাজারে যেমন শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা ঘরে তোলার প্রবণতা থাকে, ইকুইটি ফান্ডে তা করলে চলবে না। বরং বাজার পড়লে পোয়াবারো। সে ক্ষেত্রে আরও বেশি ইউনিট পাবেন। পরে সূচক ফের উঠলে হাতে আসবে বেশি রিটার্ন।

তবে হ্যাঁ, যে ফান্ড ভাল সময়েও খারাপ রিটার্ন দিচ্ছে, তা চালিয়ে যাওয়া কিন্তু বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যদি দেখেন সে রকম অবস্থায় পড়েছেন, তা হলে অবিলম্বে সেই ফান্ড ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হবে।

কোন পথে?

লগ্নির ক্ষেত্রে কেউ বেশি সাবধানী, আবার কেউ ঝুঁকি নিতে পিছপা নন। তাঁদের সবার বিনিয়োগের ধরন কিন্তু এক নয়। এখানে একটি তালিকা দিচ্ছি। তা দেখে বোঝা যাবে, মোটামুটি কী ভাবে তহবিল ছড়ালে ভাল হয়। বাকিটা নির্ভর করবে লগ্নিকারীর আর্থিক অবস্থা, মানসিকতা এবং বয়সের উপরে।

পরামর্শদাতা: বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ

(মতামত ব্যক্তিগত)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Investments Share market
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE