বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম তলানিতে। সোমবার ব্রিটেনের উঁচু মানের তেল ব্রেন্টের দর নেমে এসেছে ব্যারেলে ৩৬ ডলারে, যা গত ২০০৪ সালের পর থেকে গত ১১ বছরে সবচেয়ে কম। আর, ঠিক এরই মধ্যে বাজারে নতুন করে পা রাখতে তৈরি ইরান, আমেরিকা, লিবিয়া। ফলে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতার বাজারে চলতি মাসে দর আরও নামবে বলেই ইঙ্গিত বাজার বিশেষজ্ঞদের।
আন্তর্জাতিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ওঠার আশায় এ বার বাজারে ফিরতে তৈরি হচ্ছে ইরান। এবং ইতিমধ্যেই তারা ভারতের দাবি মেনে বেশ কিছুটা ছাড়ে তেল বেচতে রাজি। এ ছাড়া, তাদের ঝাঁপিতে আছে আরও কিছু সুবিধার প্রস্তাব। সব মিলিয়ে প্রতিযোগিতা বাড়বে, বদলাবে বাজার -দখলের ছবিটাও। অশোধিত তেলের বাজারে আরব দুনিয়ার একচেটিয়া আধিপত্য কমলে দরও ভবিষ্যতে আকাশছোঁয়া হবে না বলে আশা করছে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশ, যারা তেলের প্রয়োজন মেটাতে আমদানির উপরেই নির্ভরশীল।
গত সপ্তাহেই ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানির বৈদেশিক লেনদেন বিষয়ক ডিরেক্টর এস এম ঘামসারির সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন তেল শোধনাগারের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। সেখানেই তেল বিক্রিতে নিজেদের দাম না-দিয়ে ভারতের থেকে দর প্রস্তাব চায় ইরান। লক্ষ্য, গোড়া থেকেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা।
প্রসঙ্গত, ইরানের সঙ্গে পরমাণু ক্ষেত্রে রফার পথে হাঁটতে গত এপ্রিলে প্রাথমিক ভাবে একমত হয়েছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়া।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ যে-দেশকে ‘শয়তান’ আখ্যা দিয়েছিলেন, তাদের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে বিপদের কথা ঢাক পিটিয়ে প্রচার করেছিলেন মার্কিন কূটনীতিকরা, সেই ইরানের সঙ্গে সমঝোতার প্রথম ধাপই হল এক দশক ধরে বহাল রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ওঠা। এর জেরে অর্থনীতির চাকা নতুন করে ঘোরার আশায় ইরান তাই এ বার দুর্দিনে পাশে দাঁড়ানো ভারতকে বাণিজ্যে সুবিধা দিতে রাজি। সরাসরি আর্থিক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে ভারত বাধ্য ছিল না বলেই সে সময়ে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে গিয়েছে নয়াদিল্লি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy