(বাঁ দিকে)আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
নৈশভোজ, করমর্দনথেকে আলিঙ্গন, বক্তৃতা ও হাততালি থাকবে। তার মধ্যেই চিনকে লাগাম পরানোর কৌশলে ভারতকে পাশে পেতে চেষ্টা চালাবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটনে পৌঁছনোর আগে এ দেশেরবণিকমহল মনে করছে, দুই দেশই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। তবে নতুন করে ভারতকে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকনমিক ফ্রেমওয়ার্ক’-এর বাণিজ্য সহযোগিতায় যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিতে পারে আমেরিকা।
সরকারি সূত্রের ব্যাখ্যা, মোদীর আমেরিকা সফরে নানা ঘটনার ঘনঘটার মধ্যে আসলে আমেরিকা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের প্রভাবকে টেক্কা দিতে ভারতকে ঘুঁটি করার চেষ্টা চালাবে। তারই অন্যতম বিষয় হবে এই ফ্রেমওয়ার্ক। গত বছর মে-তে টোকিয়োয় ১৪টি দেশ নিয়ে যা তৈরির কথা জানান বাইডেন। তবে আমেরিকার ঘুঁটি হতে চায় না বলে এই জোটে যোগ দেয়নি ভারত। কিন্তু চিনকে বাগে রাখতে ও ভারতকে উৎপাদন শিল্পের হাব হিসেবে গড়তে আমেরিকার সাহায্য দরকার কেন্দ্রের।
এই জোটের লক্ষ্য, যোগাযোগ ও ডিজিটাল বাণিজ্য, নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ ব্যবস্থা, দূষণমূক্ত জ্বালানি ও দুর্নীতিমুক্ত মুক্ত বাণিজ্য— এই চারটি স্তম্ভে ঐকমত্যের ভিত্তি নিয়ম, মাপকাঠি তৈরি করা। তবে আমেরিকার পাখির চোখ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের প্রভাব খর্ব করে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা।
মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির মতো এখানে একে অন্যের বাজার ছাড়ার দরকার না থাকলেও ভারত জোটে যোগ দেয়নি। ডিজিটাল অর্থনীতি, তথ্য পাচার, শ্রমআইন ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয় দেশেররাজনীতিতে স্পর্শকাতর হতে পারে বুঝে মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে বোঝাপড়াতেই যেতে চায়নি কেন্দ্র। তবে অন্য তিনটি বিষয়ে খোলা মনে এগোচ্ছে। এতে কী লাভ হবে, তা-ও বুঝতে চাইছে নয়াদিল্লি। তারা চায় মোদীর আমেরিকা সফরকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে ৬টি বিষয়ে বাণিজ্য বিবাদ মেটাতেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy