যখন নিজের তেমন দরকার নেই, তখন গ্যারাজে গাড়ি ফেলে না-রেখে ভাড়া দিয়ে দু’পয়সা রোজগারের সুযোগ এ বার কলকাতাতেও।
ব্যক্তিগত গাড়ি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু পেশাদার চালকের বদলে কেউ নিজে চালানোর জন্য (সেল্ফ ড্রাইভ) যদি গাড়ি ভাড়া নেন, সেই পরিষেবায় কেউ তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি কাজে লাগাতে পারেন আইন মেনেই। গত অক্টোবরে কলকাতায় নিজে চালানোর জন্য গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা শুরু করেছিল বেঙ্গালুরু-র ‘স্টার্ট-আপ’ সংস্থা ‘জুমকার’। এত দিন তারা নিজেদের গাড়িই ভাড়া দিত। বৃহস্পতিবার থেকে অন্যদেরও গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সুযোগ দিতে তাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার সুযোগ (জ্যাপ) চালু করল জুমকার। আগেই দিল্লি-সহ দেশের পাঁচ শহরে এই পরিষেবা তারা এনেছে। সংস্থাটির সিইও এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা গ্রেড মর্যানের দাবি, গাড়ির মালিকদের মাসিক খরচের প্রায় ৭৫ শতাংশ উঠে আসতে পারে তাঁদের সঙ্গে এই ব্যবসায় পা রাখলে।
তবে পুরনো গাড়ি নয়, কেউ নতুন গাড়ি কিনলে তবেই তাঁদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবে জুমকার। কারণ ব্যক্তিগত গাড়ির করের হার আলাদা ও সেগুলির নম্বরের ‘প্লেট’ সাদা রঙের হয়। কিন্তু ‘সেল্ফ-ড্রাইভ’-এর জন্য নেওয়া গাড়ির করের হার আলাদা ও সেগুলির নম্বর প্লেট-এর রং কালো। পুরনো ব্যক্তিগত গাড়ির ওই চরিত্র বদলে সমস্যার আশঙ্কা থাকে সংস্থাটির। কিন্তু নতুন গাড়ি কেনার সময়েই সেটি একবারে ব্যক্তিগত ও ‘সেল্ফ-ড্রাইভ’, দু’ভাবে ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট করা হলে কর এবং অন্যান্য অনুমোদন পাওয়া সহজ বলেই তাদের দাবি। এখন সংস্থার ৩০০০-এরও বেশি গাড়ির প্রায় ৭০ শতাংশই তাদের নিজস্ব। বাকিটা জ্যাপ গাঁটছড়ার গাড়ি। ২০১৮-র শেষে সেই হিসেবটা ঠিক উল্টো হবে বলেই তাদের আশা। অর্থাৎ, ৭০ শতাংশেরই মালিকানা থাকবে অন্যদের হাতে।
সংস্থা সূত্রে খবর, দরকারে যেমন দিনে কয়েক ঘণ্টার জন্য কেউ তাদের গাড়ি ভাড়া নেন, তেমনই সপ্তাহান্তে ছুটি কাটাতেও নিতে পারেন। সপ্তাহের মাঝে তাই ছোট (হ্যাচব্যাক) গাড়ির চাহিদা থাকলেও বেড়ানোর জন্য এসইউভি-র চাহিদা বাড়ে। দিঘা, মন্দারমণি, দার্জিলিঙের পাশাপাশি কলকাতা থেকে গুয়াহাটি হয়ে মেঘালয়েও পাড়ি দিয়েছে তাদের গাড়ি, দাবি কর্তাদের। শিলিগুড়ি থেকেও পরিষেবা চালু করেছে সংস্থা। উল্লেখ্য, ওরিক্স-ও ইতিমধ্যেই কলকাতায় এই ব্যবসা চালু করেছে।
কদের ৭৫ শতাংশই তিরিশের নীচে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy