ছবি: সংগৃহীত।
করোনা নয়, হোটেল-রেস্তরাঁর ব্যবসায় এ বার জ্বালানির কামড়।
বছর দেড়েক ধরে অতিমারি ব্যবসা কেড়েছে। উৎসবের মরসুমে তার কিছুটা পুনরুদ্ধারের আশায় ছিল হোটেল-রেস্তরাঁ-সহ আতিথেয়তা শিল্প। দুর্গা পুজো কাটিয়ে চোখ ছিল কালীপুজো, ভাইফোঁটায়। কিন্তু তার আগেই ১৯ কেজির বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দাম এক ধাক্কায় ২৭০ টাকা (কলকাতায়) বেড়ে যাওয়ায় মাথায় হাত অনেকের। প্রতিটির জন্য ২০৭৩.৫০ টাকা গুনতে হবে, জানার পর থেকে প্রমাদ গুনছে মূলত ছোট মাপের ব্যবসাগুলি।
হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আজ়হার ও সেক্রেটারি প্রণব সিংহের আশঙ্কা, এর প্রভাব পড়বে আয়ে। লাভে টান পড়বে। অথচ বর্তমান পরিস্থিতিতে খাবারের দাম বাড়ানোর উপায় নেই। আজ়হার বলেন, ‘‘ভাইফোঁটা সপ্তাহ শেষে পড়ায় আশায় ছিলাম। কিন্তু তার আগেই জ্বালানির খরচ এতটা বাড়ল!’’ ভিড় কিছুটা বেশি হলেও লাভের বদলে লোকসান দেখছেন অনেক হোটেল মালিক। প্রণবের আক্ষেপ, দুর্গাপুজোর পরে ব্যবসা এমনিতেই কমেছে। এ বার তাতে নতুন করে ধাক্কা লাগবে।
শিল্প সূত্রের খবর, এখন ছোট-মাঝারি হোটেল-রেস্তরাঁয় মোট খরচের মধ্যে জ্বালানির জন্য লাগে গড়ে ২.৫-৪%। দামিগুলির, অর্থাৎ মাসে ব্যবসা ১০ লক্ষ টাকা ছাড়ালে কিছুটা বেশি। শিল্প কর্তাদের বক্তব্য, অনলাইনে হোম ডেলিভারি বাড়লেও, সরবরাহকারী সংস্থাগুলিকে কমিশন দিয়ে আয় তেমন বাড়েনি। অতিথি হোটেল-রেস্তরাঁয় এলে রোজগার বেশি। এই অবস্থায় পেট্রল-ডিজ়েলের চড়া দামে কাঁচামালের বর্ধিত খরচ ইতিমধ্যেই রক্তচাপ বাড়িয়েছে। এত দামে গ্যাস কিনে ভবিষ্যতে ক’জন ব্যবসা চালাতে পারবে, সেই প্রশ্নও মাথা তুলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy