আঙুর ফল টক নয় ঠিকই। কিন্তু চেরিও খেতে ভাল। আমেরিকা তাই বলছে, তারা ভারতের আঙুর খেতে রাজি। কিন্তু এ দেশের লোককেও তাদের চেরি খেয়ে দেখতে হবে।
বাণিজ্য নীতি নিয়ে ভারতের সঙ্গে দর কষাকষি করতে বসে এ বার আঙুরের বদলে চেরির শর্ত রেখেছে আমেরিকা। ২০০৮ থেকে এ দেশের আম রফতানি হচ্ছে আমেরিকায়। আঙুরের মতো ফলও আরও বেশি করে আমেরিকায় বেচতে চাইছে ভারত। আজ তাই ভারত-মার্কিন বাণিজ্য নীতি নিয়ে বৈঠকের মঞ্চে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মার্কিন সরকারের বাণিজ্য দূত মাইকেল ফ্রোম্যানের কাছে আর্জি জানান, আঙুরের জন্য আমেরিকার বাজার খুলে দেওয়া হোক। ফ্রোম্যান পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছেন, তাঁদের চেরির জন্যও ভারতের বাজার খুলে দিক মোদী সরকার।
আঙুর-চেরির মিষ্টিমুখেই অবশ্য দ্বিপাক্ষিক বৈঠক থেমে থাকেনি। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্র যে আরও বেশি মার্কিন লগ্নি টানতে চাইছে, সে প্রসঙ্গও ওঠে। সীতারামন ফ্রোম্যানের কাছে আর্জি জানান, ভারতে প্রতিরক্ষা, ইলেকট্রনিক্স, চিকিৎসার সরঞ্জাম উৎপাদনে মার্কিন লগ্নিকারীরা এগিয়ে আসুক। ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষে ভারতে মার্কিন লগ্নির পরিমাণ ছিল ৪২০ কোটি ডলার। কেন্দ্র চাইছে, উৎপাদন শিল্পে আরও বেশি মার্কিন লগ্নি আসুক। মন্ত্রী বোঝাতে চেয়েছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এখন সরাসরি বিদেশি লগ্নির রাস্তা খুলে গিয়েছে। কিন্তু আমেরিকা চাইছে, মোদী সরকার খুচরো ব্যবসার মতো ক্ষেত্রেও বিদেশি লগ্নির রাস্তা খুলে দিক। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ব্যবসায়ী ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে এই সাহস দেখাতে পারেনি মোদী সরকার। আজ মার্কিন দূত সে দিকেই আঙুল তুলেছেন।