প্রতীকী ছবি।
করোনা মোকাবিলা ও তার চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের জিএসটি-র হার ঠিক করতে কাল, শনিবার বৈঠকে বসবে জিএসটি পরিষদ। তবে এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রকের তৈরি মন্ত্রিগোষ্ঠীর সুপারিশ নিয়ে বৈঠক উত্তপ্ত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি করোনার প্রতিষেধক, ওষুধ ও চিকিৎসার সব রকম উপকরণে জিএসটি-র হার শূন্যে নামিয়ে আনার দাবি তুলেছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, অর্থ মন্ত্রকের তৈরি মন্ত্রিগোষ্ঠী প্রতিষেধকের জিএসটি ৫ শতাংশই রেখে দেওয়ার সুপারিশ করেছে। তবে মিউকরমাইকোসিসের ওষুধ অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি, করোনার ওষুধ টোসিলিজুমাবের জিএসটি ৫% থেকে শূন্যে নামিয়ে আনার কথা বলেছে তারা। রেমডেসিভিয়ার, হেপারিনেও জিএসটি ১২% থেকে ৫% করার কথা বলা হয়েছে। অক্সিজেন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ভেন্টিলেটর, বাইপ্যাপ যন্ত্র, টেস্টিং কিট, অক্সিমিটারের মতো উপকরণে জিএসটি ১২% থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশের পাশাপাশি, স্যানিটাইজ়ার, আরটি-পিসিআর যন্ত্র, জিনোম সিকোয়েন্সিং যন্ত্র, শ্মশানের চুল্লিতে জিএসটি ১৮% থেকে ৫% করার সুপারিশ করেছে। তবে পিপিই কিট, এন-৯৫, ত্রিস্তরীয়, সার্জিকাল মাস্ক, অ্যাম্বুল্যান্সে জিএসটি কমানোর পক্ষে নয় মন্ত্রিগোষ্ঠী।
জিএসটি পরিষদের গত বৈঠকে এই সমস্ত পণ্যের করের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। এর পরে আট রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিল অর্থ মন্ত্রক। তাদের জমা দেওয়া রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই শনিবারের বৈঠক হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy