মন্ত্রী শশী পাঁজা। ফাইল ছবি
অর্থনীতির মাপে ব্রিটেনকে সম্প্রতি পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। প্রত্যাশিত ভাবেই কেন্দ্রের মন্ত্রী থেকে শাসক দলের সকলে এটিকে সরকারের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরছেন। তবে এই সাফল্যে সমাজের সব শ্রেণি শামিল কি না, সেই প্রশ্ন তুলে আর্থিক বৈষম্য বৃদ্ধির অভিযোগ করছে বিরোধী শিবির। কারও নাম না করলেও, সোমবার বণিকসভা সিআইআইয়ের সভায় রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজাও পশ্চিমবঙ্গের ‘উন্নত’ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি মোদী সরকারের ওই সাফল্যের দাবি নিয়ে কটাক্ষ করলেন। তাঁর দাবি, ‘‘নাগরিকদের একাংশ কোটিপতি হলেন আর বাকিরা পিছিয়ে থাকলেন, এর (উন্নয়ন) অর্থ হয় না।’’
পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন পরিকাঠামো ক্ষেত্রকে নিয়ে সোমবার থেকে দু’দিনের সম্মেলনের আয়োজন করেছে সিআইআই। এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে লগ্নি টানার বার্তা দিয়ে শিল্প মহলের উদ্দেশে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে স্থিতিশীল সরকার আর্থিক শৃঙ্খলা মেনে চলার ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে। রাজ্যের সামাজিক ক্ষেত্রের নানা প্রকল্প কী ভাবে শিল্পের জন্য দক্ষ কর্মী তৈরি করছে, তারও ব্যাখ্যা দেন তিনি।
সেই সূত্রেই সার্বিক উন্নয়নের উপরে জোর দেন শশী। তাঁর কথায়, ‘‘ব্রিটেনকে আর্থিক উন্নতিতে পিছনে ফেলেছে ভারত। কিন্তু দেশের সমস্ত নাগরিকেরই উন্নতি প্রয়োজন। শুধু একাংশ কোটিপতি হবেন, বাকিরা পিছিয়ে থাকবেন, তা হয় না।’’ তাঁর দাবি, পশ্চিমবঙ্গ সেই সঙ্কীর্ণ আর্থিক মডেল অনুসরণ করে না। ধীরে হলেও সকলের উন্নয়নই রাজ্যের লক্ষ্য।
এ দিনই মুখ্যমন্ত্রী উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে তরুণ প্রজন্মের একাংশকে চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি লগ্নি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। সেই সঙ্গে যে কোনও অভিযোগ জানানোর জন্য বিশেষ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই সব বার্তা সিআইআইয়ের সভায় তুলে ধরে শিল্পমহলের কাছে শশীর আর্জি, এ রাজ্যের দূত হয়ে ভিন্ রাজ্যে সফরে গিয়ে শিল্পকর্তারা পশ্চিমবঙ্গকে তুলে ধরুন ও বাংলার মাটিতে পরিকাঠামো-সহ নানা ক্ষেত্রে পুঁজি ঢালুন।
সম্মেলনে আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, বাংলাদেশ, নেপালের মতো দেশগুলির কূটনীতিবিদেরা পূর্বাঞ্চলে পরিকাঠামো উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার বার্তা দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy