নগদহীন লেনদেনের বাজারে লড়াইয়ে নেমেছেন ব্যাঙ্ক এবং মোবাইল ওয়ালেট কর্তারা।
ক’দিন আগেই মোবাইল ওয়ালেট ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের এমডি তথা সিইও আদিত্য পুরী। তাঁর আশঙ্কাকে উড়িয়ে এ বার ওয়ালেট সংস্থা মোবিকুইক-এর সিইও বিনীত কে সিংহের দাবি, তাঁদের ব্যবসা যথেষ্টই শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে।
নোট বাতিলের পরে কেন্দ্র নগদহীন লেনদেনে জোর দেওয়ায় গুরুত্ব বাড়ছে পেটিএম, মোবিকুইক-এর মতো মোবাইল ওয়ালেট-এর। সম্প্রতি পুরী জানান, এই ব্যবসায় লাভের হার যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি কেনাকাটায় যে-ধরনের ‘ক্যাশব্যাক’–এর সুবিধা তারা গ্রাহকদের দেয় তাতে আদৌ এই ব্যবসা চালানো সম্ভব কি না, সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। যদিও তখন ওয়ালেট সংস্থাগুলি এ নিয়ে মন্তব্য করতে চায়নি।
বৃহস্পতিবার কলকাতা তথা পূর্বাঞ্চলে মোবিকুইক-এর ব্যবসা ছড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানাতে এসেছিলেন সিংহ। পুরীর বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ব্যবসার মডেল নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। গত সাত বছর ধরে আমাদের আয় বেড়েছে।’’ গ্রাহকদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া নিয়ে তাঁর দাবি, ‘‘ব্যাঙ্ক যদি আয় থেকে সুদ দিতে পারে, আমরা কেন আয়ের একাংশ গ্রাহকদের দিতে পারব না? তা ছাড়া আমাদের সঙ্গে যে-সব সংস্থার গাঁটছড়া রয়েছে, তারাও বছরের বিভিন্ন সময়ে ছাড় দেয়। আমরা যৌথ ভাবেও গ্রাহকদের ছাড় দিতে পারি। কেনাকাটার পরে টাকা মেটানোর পরিষেবা দিতে আমাদের প্রাসঙ্গিকতা থাকবেই।’’
ভবিষ্যতে এই ব্যবসা বাড়ার সম্ভাবনাই দেখছেন সিংহ। তাঁর দাবি, তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার গাঁটছড়ার ফলে কেনাকাটার সময়ে গ্রাহকের কাছে পছন্দের তালিকাও অনেক লম্বা।
এত দিন সংস্থা বেশি ব্যবসা করত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেই। এ বার পূর্বাঞ্চল-সহ অন্যত্র ব্যবসা ছড়াতে আরও বেশি সংস্থার সঙ্গে জোট বাঁধতে চাইছে তারা। সেই লক্ষ্যে পূর্বাঞ্চলে প্রথম কলকাতায় অফিস খুলছে তারা। এখন গোটা দেশে মোবিকুইক-এর গ্রাহক ও গাঁটছড়া বাঁধা সংস্থার সংখ্যা যথাক্রমে ৫ কোটি ও ১৪ লক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy