স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচির হাত ধরে খুলে যাচ্ছে ব্যবসার নতুন দরজা। লগ্নি করতে ঝাঁপাচ্ছে ছোট-বড় সংস্থা। পুঁজি জোগাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে উদ্যোগপুঁজি সংস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন আর্থিক সংস্থা। এমনকী ব্যবসার নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে শৌচাগারের দৌলতেও!
গ্রামে শৌচাগার তৈরির জন্য ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। শহরে শৌচাগার ও বর্জ্য নিকাশির জন্য বরাদ্দ ৬২ হাজার কোটি। সব মিলিয়ে এই দু’লক্ষ কোটি টাকার বরাদ্দ নতুন বাজার তৈরি করছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। বিশেষত যেখানে খোলা আকাশের নীচে মলত্যাগে ভারতের পরিসংখ্যান এখনও মলিন। বিশ্বের ৬০ শতাংশ এ ধরনের কাজ এখানেই ঘটে। এগারো কোটির বেশি বাড়িতে শৌচাগার নেই। মেয়েদের জন্য তা নেই ১০ শতাংশ স্কুলেও। বিশাল এই ঘাটতির অঙ্কেই নতুন ব্যবসার লাভের হিসেব লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজি সংস্থা ইন্টেলিক্যাপের প্রধান অনুরাগ অগ্রবাল বলেন, ‘‘কম পুঁজিতেই এই ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ফলে বিনিয়োগ করে লাভের টাকা ঘরে তোলা সহজ।’’
লাভের অঙ্ক কষেই এই ব্যবসায় ঝাঁপিয়েছে স্টোন ইন্ডিয়ার মতো ইঞ্জিনিয়ারিং সংস্থা। রাজ্যের এই সংস্থা বেছেছে শৌচাগার নির্মাণের ব্যবসা। সংস্থার প্রধান দেবাশিস চক্রবর্তীর দাবি, নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি শৌচাগার (বায়ো-টয়লেট) নিয়ে এসেছেন তাঁরা। তাঁর দাবি, ‘‘প্রযুক্তির জন্য ১০ কোটি টাকা লগ্নি করা হয়েছে। দুষণমুক্ত এই শৌচাগারে বর্জ্য জলে রূপান্তরিত করা হয়। ফলে শৌচাগার ও বর্জ্য নিকাশি— দুই সমস্যাই সমাধান হয়।’’
দেবাশিসবাবুর দাবি, ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পুরসভা ও বাণিজ্যিক সংস্থার তরফে সাড়া মিলেছে। প্রথম বছরেই ‘এনবায়োলেট’ ব্র্যান্ডের এই শৌচাগার বিক্রি করে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যবসা করেছে স্টোন ইন্ডিয়া। আগামী তিন বছরে তা ২৫০ কোটি টাকা ছোঁবে বলে কর্তৃপক্ষের দাবি। পুণের বায়ো-শৌচাগার নির্মাণ সংস্থা থ্রিএস ইন্ডিয়াও মনে করে, আগামী দিনে ব্যবসার আরও অনেক নতুন দিগন্ত খুলে দেবে স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy