গত কালই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর শুক্রবার কেন্দ্রীয় অথর্মন্ত্রী অরুণ জেটলিকে সরকারি ভাবে চিঠি লিখে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বললেন, ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু করতে রাজ্যের ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলি তৈরি নয়। সেই কথার প্রতিধ্বনি করে ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির সংগঠন ফ্যাকসি-র অন্যতম কর্তা হিতাংশু কুমার গুহর দাবি, ‘‘খুঁটিনাটি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। সব কিছু স্পষ্ট হওয়ার পরে অন্তত তিন মাস সময় প্রয়োজন। তার আগে জিএসটি চালু হলে, সমস্যায় পড়বেন ব্যবসায়ীরা।’’
জেটলি অবশ্য এমন কোনও সম্ভাবনা প্রায় উড়িয়ে দিয়েছেন। জিএসটি পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে তিনি বলেন, ‘‘এখন অন্য রাস্তা খোলা নেই। ১ জুলাই থেকে জিএসটি-র জন্য শিল্পকে তৈরি হতেই হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সব রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা এসে বলেছেন, কেন্দ্র যেন ১ জুলাইয়ের তারিখ নিয়ে দোনামনা না-করে।’’
রাজ্যের ছোট-মাঝারি শিল্পের বক্তব্য, তারা নতুন কর ব্যবস্থার বিরোধী নয়। কিন্তু এত কম সময়ে খোলনলচে বদলানো তাদের পক্ষে শক্ত। আবার উল্টো দিকে কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব হাসমুখ আঢিয়া বলেন, ‘‘ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীরা অকারণে আতঙ্কে ভুগছেন। জিএসটি-তে হিসেব রাখা বরং আরও সহজ হবে।’’
ফ্যাকসির মতে, ছোট সংস্থার পক্ষে এক ধাক্কায় অনেক টাকা খরচ করে সফটওয়্যার-সহ পরিকাঠামো তৈরি সহজ নয়। কিন্তু রাজস্ব সচিবের বক্তব্য, ‘‘এ নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজনই নেই। যাঁরা জিএসটি-তে রিটার্ন দাখিল করবেন, তাঁদের সফটওয়্যারও দরকার নেই। নির্দিষ্ট এক্সেল ফর্মেই কেনা-বেচার হিসেব রাখা যাবে। জিএসটি নেটওয়ার্কে সেই ফর্ম মিলবে। তার পর ওই ফর্ম থেকে সরাসরি রিটার্ন দাখিল সম্ভব।’’ ফ্যাকসির যদিও দাবি, সারা দেশেই অধিকাংশ ছোট ও মাঝারি সংস্থা এখনও জিএসটি-র জন্য তৈরি নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy