Advertisement
E-Paper

লাল ফিতের ফাঁসেই আটকে সহজে ব্যবসার নয়া নিয়ম

বানতলা বিশেষ আর্থিক অঞ্চল থেকে কসবা শিল্প তালুক। কোথাও লাল ফিতের ফাঁসে আটকে ট্রেড লাইসেন্স। কোথাও বা পরিবেশের ছাড়পত্র। মুখ্যমন্ত্রী সহজে ব্যবসা করার নতুন নিয়ম ঘোষণা করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা ফাইল-বন্দি রয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।

গার্গী গুহঠাকুরতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৫ ০২:৫৯

বানতলা বিশেষ আর্থিক অঞ্চল থেকে কসবা শিল্প তালুক। কোথাও লাল ফিতের ফাঁসে আটকে ট্রেড লাইসেন্স। কোথাও বা পরিবেশের ছাড়পত্র। মুখ্যমন্ত্রী সহজে ব্যবসা করার নতুন নিয়ম ঘোষণা করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা ফাইল-বন্দি রয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।

মাস দু’য়েক আগেই টাউন হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সব বণিকসভার সদস্য ও শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে মূল বিষয় ছিল, ব্যবসার প্রক্রিয়া সহজ করার পথে কতটা এগিয়েছে রাজ্য। এবং সে দিন এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন, ২০১১ সালে সহজে ব্যবসা করার মাপকাঠির বিচারে এ রাজ্যের স্থান ছিল সতেরোয়, যা সব রাজ্যের তালিকায় প্রায় শেষের দিকে। তাঁর দাবি ছিল, এই ছবি পাল্টাতে রাজ্য পুরনো নিয়ম বদলে ফেলছে। মমতার সে দিনের কথায়, ‘‘জমির চরিত্র বদল, পরিবেশ, দমকল, বিদ্যুতের মতো ৩৮টি বিষয়ে একজানলা ব্যবস্থার মাধ্যমে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। সব ক্ষেত্রেই বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময় -সীমা। দিন ১৫-র বেশি কোথাও লাগবে না।’’ ভ্যাট পরিষেবা থেকে শুরু করে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া — সবই অনলাইনে সেরে ফেলা যাবে বলেও দাবি করেছিলেন তিিন।

তবে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পসভার মঞ্চ থেকে যে-প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বাস্তবে তা দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এর কারণ ওই সব বিষয় নির্দেশের আকারে নিচুতলার কর্মীদের কাছে পৌঁছয় না। লাল ফিতের ফাঁসে হাঁসফাস কসবা শিল্প তালুক যার অন্যতম উদাহরণ।

এক দশকেরও বেশি সময় অগ্নি নির্বাপণ বা ফায়ার লাইসেন্স ছাড়া কাজ করছে তালুকটির অধিকাংশ কারখানা। ফলে ট্রেড লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করতে গিয়ে আটকে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ টাউন হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, একটি ছাড়পত্র না-থাকলেও আটকে রাখা যাবে না আর একটি ছাড়পত্র। কসবা তালুকে কারখানার মালিকদের সংগঠনের অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি দফতরের দ্বারস্থ হয়েও কাজ হয়নি। ক্ষুদ্রশিল্প দফতর, দমকল, কলকাতা পুরসভার সর্বোচ্চ স্তরে বিষয়টি জানিয়ে আশ্বাস পেলেও বাস্তবে মেলেনি কোনও ছাড়পত্র। ৭ বছর পুনর্নবীকরণ হয়নি সংগঠনের অন্যতম কর্তার কারখানার ট্রেড লাইসেন্সই। তিনি বলেন, ‘‘২৪০টি কারখানা আছে। প্রায় ৮০% বিনা ট্রেড লাইসেন্সে চলছে। ফলে ঋণ মেলে না। টাকার অভাবে মার খাচ্ছে সম্প্রসারণ পরিকল্পনাও।’’

একই রকম প্রশাসনিক ঢিলেমির অভিযোগ তুলেছেন বানতলা বিশেষ আর্থিক অঞ্চলের চর্ম ব্যবসায়ীরাও। প্রতি দু’বছর অন্তর পরিবেশের ছাড়পত্র পুনর্নবীকরণ করতে হয় এখানে। চর্ম ব্যবসায়ীদের সংগঠন ক্যালকাটা লেদার কমপ্লেক্স ট্যানারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ খানের অভিযোগ, পরিবেশ দফতরের নিয়ম মেনে কাগজপত্র ও টাকা দিয়েও নবীকরণ হয়নি। তাঁর দাবি, ‘‘২০১৪-র জুনে টাকা জমা দিয়ে আবেদন করেছি। এক বছরের বেশি কেটে গিয়েছে। ছাড়পত্র পাইনি।’’ তাঁর অভিযোগ, অনেকেরই এক সমস্যা। পরিবেশ দফতরে একাধিকবার আর্জি জানিয়েও ফল হয়নি। কারণও জানায়নি তারা। পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল কুমার অধিকারী বানতলা অঞ্চলের দায়িত্বে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কথা বলার অধিকার তাঁর নেই।

red tape noose noose government lathergy gargi guhathakurata easy business abp business news
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy