বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির উদ্দেশে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। ফাইল চিত্র।
আদানি গোষ্ঠীর তিনটি সংস্থার শেয়ারকে স্বল্পমেয়াদি অতিরিক্ত নজরদারির আওতা থেকে মুক্ত করার কথা ঘোষণা করল এনএসই এবং বিএসই। শুক্রবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। যা নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির উদ্দেশে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। অভিযোগ এনেছে নিষ্ক্রিয়তার।
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির শেয়ার দরে অস্থিরতা চলছে। এই অবস্থায় গত ৮ মার্চ আদানি এন্টারপ্রাইজ়েস, আদানি পাওয়ার ও আদানি উইলমারকে স্বল্পমেয়াদি বাড়তি নজরদারির আওতায় আনার কথা ঘোষণা করে দুই শেয়ার বাজার। কোনও সংস্থার শেয়ার দর তার ঊর্ধ্ব বা নিম্নসীমায় কত ঘন ঘন পৌঁছচ্ছে, দাম ও আয়ের অনুপাত-সহ কিছু মাপকাঠির উপরে তা নির্ভর করে। এ দিন সংস্থা তিনটিকে সেই নজরদারির বাইরে আনা হয়েছে। শুক্রবার ওই গোষ্ঠীর ১০টি সংস্থার মধ্যে ৭টির দাম বেড়েছে। তার মধ্যে রয়েছে এই তিনটি সংস্থাও। একই দিনে আদানি গ্রিন এনার্জি এবং এনডিটিভিকে দীর্ঘমেয়াদি নজরদারির দ্বিতীয় পর্যায় থেকে ফেরানো হয়েছে প্রথম পর্যায়ে।
এ দিন এক্সচেঞ্জগুলির এই সিদ্ধান্ত ঘিরে সেবিকে বিঁধেছে কংগ্রেস। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে ‘হম আদানিকে হ্যায় কৌন’ শিরোনামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে সামাজিক মাধ্যমে প্রত্যেক দিন তিনটি করে প্রশ্ন করছেন দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। তার ৩১তম পর্বে তাঁর বক্তব্য, ‘‘প্রতিবাদ এবং মুলতুবির মধ্যে দিয়ে (সংসদের) আরও একটি দিন কেটে গেল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত আদানিদের মহা কেলেঙ্কারি যথারীতি বিরোধীদের বিক্ষোভের বিষয়। সরকারও প্রতিক্রিয়াহীন।... মুখ খুলুন প্রধানমন্ত্রীজি।’’ তাঁর অভিযোগ, এমএসসিআই, এসঅ্যান্ডপি ডাও জোন্স, এফটিএসই রাসেলের মতো সূচক তৈরির আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি যখন আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির মূল্যায়ন পুনর্বিবেচনা করছে, তখন তার উল্টো রাস্তায় হেঁটে আদানিদের পাঁচটি সংস্থাকে ২০ মার্চ থেকে অন্তত ১৪টি সূচকের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনএসই। এতে যাঁরা সূচকের ভিত্তিতে বাজারে পুঁজি ঢালেন, তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছে ওই সব সংস্থায় লগ্নি করতে। গৌতম আদানির সংস্থাগুলির বন্ধকি শেয়ারের দাম যখন কমেছে তখন ব্যাঙ্ক অব বরোদা কেন তাদের আরও ঋণ দেওয়ার কথা জানাল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রমেশ।
অন্য দিকে, ভারতে নথিভুক্ত যে সব সংস্থা চিনের সংস্থার সঙ্গে এশিয়ায় ব্যবসা করে তাদের মূল্যায়নের উপরে ওই দেশের বাজার নিয়ন্ত্রক নজর রাখা শুরু করেছে। সূত্রের খবর, ভারতের কিরি ইন্ডাস্ট্রিজ়ের শেয়ার কেনা নিয়ে বিবাদের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy