—ফাইল চিত্র।
পেট্রল-ডিজেলের বেলাগাম দামের জন্য চড়া করের হার নিয়ে পরস্পরকে দুষছে কেন্দ্র ও রাজ্য। সেগুলিকে জিএসটি-তে আনার ‘বল’ আলতো করে গড়িয়ে দিয়ে চুপ করে যাচ্ছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার এসবিআইয়ের গবেষণা শাখা ইকোর্যাপের অর্থনীতিবিদদের দাবি, তেলে জিএসটি বসলে আপাতত পেট্রলকে লিটার পিছু ৭৫ টাকায় ও ডিজেলকে ৬৮ টাকায় নামানো যাবে। যা শুনে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, সাধারণ মানুষের কথা ভেবে জরুরি ভিত্তিতে কে এই পদক্ষেপ করবে? এসবিআইয়ের অর্থনীতিবিদেরাও রিপোর্টে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। কলকাতায় এখন পেট্রল ৯১.৩৫ টাকা, ডিজেল ৮৪.৩৫ টাকা।
প্রায় সাড়ে ৮০০ টাকার কাছে পৌঁছনো রান্নার গ্যাস নিয়ে রিপোর্টে পরামর্শ রয়েছে। বলা হয়েছে, অন্তত বছর পাঁচেকের জন্য গরিব গ্রাহকদের বাড়তি এবং আয়ের নিরিখে বিভিন্ন শ্রেণি অনুযায়ী আলাদা আলাদা পরিমাণের ভর্তুকি দিক কেন্দ্র।
অর্থনীতিবিদদের দাবি, তেলে জিএসটি বসলে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির রাজস্ব ক্ষতি হবে এক লক্ষ কোটি টাকা। যা জিডিপির মাত্র ০.৪%। অশোধিত তেলের দর ব্যারেলে ৬০ ডলার এবং টাকা-ডলারের বিনিময় মূল্য ৭৩ ধরে তাঁরা হিসেব কষেছেন। জিএসটির হার ধরেছেন ২৮%। তাঁদের বক্তব্য, তেলে জিএসটির ভাবনাটি অসম্পূর্ণ রয়েছে। এর কর রাজস্ব আয়ের বড় সূত্র হওয়ায় কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির তাতে বিতৃষ্ণা আছে। তাই অভাব রাজনৈতিক সদিচ্ছারও। যদিও ইকোর্যাপের হিসেব বলছে, জিএসটি চালু হলে কেন্দ্র-রাজ্যের আয়ে কোপ কিছুটা পড়লেও নাগরিকেরা সস্তায় তেল পাবেন। তবে অশোধিত তেলের দাম ব্যারেলে ১০ ডলার কমলে তার সুবিধা ক্রেতাদের না-দিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি ১৮ হাজার কোটি টাকা বাঁচাতে পারবে।
বুধবার এক রিপোর্টে আর্থিক বিশ্লেষকদের দাবি ছিল, এখন চাইলে দুই জ্বালানিতেই লিটারে ৮.৫০ টাকা পর্যন্ত শুল্ক কমাতে পারে কেন্দ্র। তাতে সরকারের আয় ধাক্কা খাবে না। বাজেটে স্থির হওয়া রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সমস্যা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy