ফাইল চিত্র।
এতদিন বকেয়া ঋণ উদ্ধারের জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ খেলাপিদের দরজায় দরজায় ঘুরতে হয়েছে। কিন্তু ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে আইন কড়া হওয়ার পরে এ বার তারাই ব্যাঙ্কের কাছে হাজির হচ্ছে বলে দাবি অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী বিল পাশ করাতে গিয়ে জেটলি বলেন, এই আইনের ফলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে দেউলিয়া আইন মেনে প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিতে পারবে। পুরনো ব্যবস্থায় ব্যাঙ্কের কর্তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েও পরে তাঁদের ঘাড়ে দায় এসে পড়তে পারে বলে পিছিয়ে যেতেন। এ বার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সেই নির্দেশ দেবে। সরকারকেও এ বিষয়ে নাক গলাতে হবে না।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে এই ক্ষমতা দিতে আগেই ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশোধন করে অধ্যাদেশ এনেছিল মোদী সরকার। লোকসভার পর এ বার রাজ্যসভায় সেই বিলটিই পাশ করিয়ে তাকে আইনের চেহারা দেওয়া হল। অধ্যাদেশ জারি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে কংগ্রেসের প্রশ্ন, এত তাড়াহুড়োর কী ছিল? জেটলি বলেন, ‘‘এমনিতেই দেরি হয়ে গিয়েছে। ব্যাঙ্কের ঋণ দিতে না-পারার ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বৃদ্ধি ধাক্কা খাচ্ছে।’’
নতুন দেউলিয়া আইনের আওতায় নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য ইতিমধ্যেই ১০০টির বেশি সংস্থা জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনালে (এনসিএলটি) আবেদন করেছে।
এ দিন সিপিএমের তপন সেন প্রশ্ন তোলেন, এনসিএলটি-র পরিকাঠামো বাড়ানো না-হলে লাভ হবে না। সেখানে সব আবেদন ঝুলে থাকবে। জেটলি বলেন, সে দিকেও কেন্দ্র নজর দিচ্ছে। তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়ের প্রশ্ন ছিল, স্বেচ্ছায় ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? জেটলির দাবি, অনেকের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর সেই কারণেই কেউ কেউ বিদেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy