পিএফের কর্মী পেনশন প্রকল্পে (ইপিএস) বেশি পেনশন পাওয়ার সুবিধা বেছে নেওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। প্রতীকী ছবি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে অনেকে ভেবেছিলেন কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) আওতায় বেশি পেনশন পাওয়ার জন্য আবেদনের সময়সীমা আগামী ৩ মার্চ শেষ হচ্ছে। কারণ গত ৪ নভেম্বর দেওয়া রায়ে শীর্ষ আদালত বলেছিল, যোগ্যদের এই সুবিধা বেছে নেওয়ার জন্য চার মাস দিতে হবে। সেই চার মাসেরই মেয়াদ ফুরোচ্ছে পরের মাসের ৩ তারিখ। সোমবার কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড সংস্থা (ইপিএফও) তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, পিএফের কর্মী পেনশন প্রকল্পে (ইপিএস) বেশি পেনশন পাওয়ার সুবিধা বেছে নেওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। অর্থাৎ ইচ্ছুক যোগ্য পিএফের সদস্যেরা এই সুযোগ নেওয়ার জন্য হাতে পাচ্ছেন আরও মাস দুয়েক।
২০১৪ সালের সংশোধিত ইপিএসে পিএফের পেনশন পাওয়ার যোগ্য বেতনের ঊর্ধ্বসীমা আগের (মাসে ৬৫০০ টাকা) থেকে বাড়িয়ে মাসে ১৫,০০০ টাকা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে এটাও বলা হয়েছিল, যদি পিএফের কোনও সদস্য ১৫ হাজারের উপরে থাকা বেতনের অংশেও পেনশন পেতে চান, তা হলে তাঁদের নিয়োগকর্তার সঙ্গে যৌথ ভাবে মূল বেতনের উপর ৮.৩৩% দিতে হবে ইপিএসে। সুপ্রিম কোর্ট ইপিএসে ২০১৪ সালের সংশোধনটি বহাল রাখে। উল্লেখ্য, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী কর্মী প্রতি মাসে তাঁর মূল বেতন এবং মহার্ঘ ভাতার ১২% ইপিএফে জমা দেন। আর নিয়োগকর্তাকে সংশ্লিষ্ট কর্মীর মূল বেতনের ১২% জমা দিতে হয় দু’ভাগে ভেঙে। ৩.৬৭% পিএফে এবং ৮.৩৩% ইপিএসে।
ইপিএফও জানিয়েছে, যাঁরা ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বরের আগে কর্মরত ছিলেন এবং ওই দিন বা তার পরে কাজে বহাল থেকেছেন, কিন্তু ইপিএসে পেনশন পাওয়ার যোগ্য বেতনের ঊর্ধ্বসীমার উপরের বাড়তি অংশে বেশি পেনশন পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেননি, তাঁদের সুযোগ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা ও কর্মীকে আবেদন করতে হবে যৌথ ভাবে। ৩মে পর্যন্ত সময়সীমা পিছোনোয় সেই সুযোগ আরও প্রসারিত হল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। গত সপ্তাহেই কী ভাবে আর্জি জানাতে হবে, তার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন পিএফ কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy