অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় আপাতত জল ঢালল শিল্পোৎপাদন ও খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানই জানিয়েছে মার্চে শিল্পোৎপাদন বেড়েছে নামমাত্র, পাশাপাশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে খুচরো বাজার দর। আর, এই জোড়া ধাক্কাকে ফের অর্থনীতির অশনি সঙ্কেত বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। আশঙ্কার মেঘ সরকারি স্তরে ও শিল্পমহলেও। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি নীতির আমূল সংস্কারের পক্ষে সওয়াল করেছে শিল্পমহল, যাতে চাহিদা বাড়িয়ে শিল্পের চাকায় গতি বাড়ানো যায়।
মূলত কল-কারখানা ও খনন ক্ষেত্রের উৎপাদন ঢিমেতালে এগোনো এবং মূলধনী পণ্য উৎপাদন সরাসরি সঙ্কুচিত হওয়ার জেরেই মার্চে সার্বিক ভাবে শিল্পোৎপাদন বেড়েছে মাত্র ০.১ শতাংশ। গত বছরের মার্চে তা বেড়েছিল ২.৫ শতাংশ, ২০১৬-র ফেব্রুয়ারিতে ২ শতাংশ। পুরো ২০১৫-’১৬ অর্থবর্ষের হিসেব ধরলে শিল্প বৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২.৪ শতাংশ, আগের বছরের হার ২.৮ শতাংশ। প্রসঙ্গত, রয়টার্সের সমীক্ষাতেও শিল্প বৃদ্ধি মার্চে ২.৫ শতাংশ ছোঁয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়।
এপ্রিলে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিও এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৩৯ শতাংশ, মার্চের হার ৪.৮৩ শতাংশ। জানুয়ারির পরে এই প্রথম বাড়ল খুচরো বাজার দর। তার মধ্যে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিই ৬.৩২ শতাংশ। বেড়েছে শাক-সব্জি ও ফলের দাম।
এর জেরে আগামী মাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ঋণনীতিতে সুদ কমানোর পথে হাঁটবে কি না, সে ব্যাপারে সন্দিহান শিল্পমহল। কারণ, সুদ ঠিক করার জন্য এই হারকেই গুরুত্ব দেয় শীর্ষ ব্যাঙ্ক। অর্থনীতি বিষয়ক সচিব শক্তিকান্ত দাস অবশ্য বলেছেন, ‘‘এই হার ৫.৫ শতাংশের নীচেই রয়েছে। ফলে
তা সীমা ছাড়ায়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy