মাসুলের ‘রক্তক্ষয়ী লড়াই’ আর স্পেকট্রামের দাম মেটাতে গিয়ে ঘাড়ে চেপে থাকা বিপুল দেনার বোঝায় এমনিতেই নাজেহাল দেশের টেলি পরিষেবা শিল্প। তার উপর রিলায়্যান্স কর্ণধার মুকেশ অম্বানীর ঘোষণার জেরে সেই প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কায় এ দিন
পড়ল প্রায় সব প্রতিদ্বন্দ্বী টেলি সংস্থার শেয়ার দর। রিলায়্যান্সের শেয়ারের দাম অবশ্য এক লাফে বাড়ল অনেকখানি। শেয়ারহোল্ডারদের খুশি করে বোনাস শেয়ার দেওয়ার কথাও জানালেন মুকেশ।
৮ বছর পরে এ দিন ফের বোনাস শেয়ার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রিলায়্যান্স। ১:১ অনুপাতে। যাঁর হাতে যতগুলি শেয়ার রয়েছে, তিনি ঠিক ততগুলি শেয়ারই বোনাস পাবেন।
তবে এয়ারটেল, আইডিয়া, অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স কমের মতো জিও-র প্রতিদ্বন্দ্বী টেলি সংস্থা ও ডিটিএইচ সংস্থাগুলির শেয়ার দরের পতনের দিনেও সেনসেক্স উঠেছে ১২৪.৪৯ পয়েন্ট। ফের ঢুকে পড়েছে ৩২ হাজারের ঘরে। নিফ্টিও বেড়েছে ৪১.৯৫ পয়েন্ট।
বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, ‘‘মুকেশ অম্বানীর ঘোষণার পরে বাকি টেলি পরিষেবা সংস্থাগুলি যে চরম প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে, তাতে সন্দেহ নেই। তাই তাদের শেয়ারের দাম আরও পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’’ স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ মনে করেন, ‘‘এই অবস্থায় বাকি সংস্থাগুলি টিকে থাকার জন্য একে অন্যের সঙ্গে মিশে যাওয়ার কথা ভাবতে পারে।’’ এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভোডাফোন এ দেশে তাদের প্রথম বার শেয়ার ছাড়া পিছিয়ে দিতে পারে বলেও অজিতবাবুর ধারণা। আগামী দিনে নেট মারফত কেব্ল পরিষেবার ব্যবসায় রিলায়্যান্স পুরোদস্তুর পা রাখতে পারে, এই আশঙ্কায় পড়েছে ডিশ টিভি, জিটিপিএল হ্যাথওয়ের মতো সংস্থার শেয়ার দরও।
তবে বাকি টেলি পরিষেবা সংস্থাগুলির শেয়ার দর পড়তে থাকলেও, তার বিরূপ প্রভাব সূচকে সে ভাবে পড়বে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অজিতবাবুর যুক্তি, ‘‘সূচকে ভারতী এয়ারটেলের গুরুত্ব বা ওয়েটেজ রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের তুলনায় অনেক কম। তাই এয়ারটেলের শেয়ার দর পড়ে যদি রিলায়্যান্সের বাড়ে, তা হলে সূচক উপর দিকেই দৌড়বে।’’ এবং সেই সম্ভাবনাই এখন বেশি বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy