ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থাগুলি (এনবিএফসি) বিভিন্ন প্রকল্পে ঢালার জন্য তহবিলের বড় অংশ জোগাড় করে বাজার থেকে ঋণ নিয়ে। হয় তারা সেই টাকা ধার হিসেবে বিভিন্ন সংস্থাকে দেয়। অথবা নানা প্রকল্পে সরাসরি লগ্নি করে। কিন্তু দু’ক্ষেত্রেই সেই প্রকল্পগুলি থেকে টাকা ফেরত পেতে সময় লাগে অনেক বেশি। কিন্তু এনবিএফসিগুলি নিজেরা যে ঋণ নেয়, দেখা যায় বেশির ভাগ সময়েই তা স্বল্প মেয়াদি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতে, এই দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকাই তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য বলেন, ‘‘অনেক সংস্থাই পুঁজির জন্য স্বল্প মেয়াদি ঋণে ভরসা করে। তাদের উচিত শেয়ার মূলধন বা দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের দিকে ঝোঁকা।’’ তাঁর মতে, এনবিএফসিগুলি তহবিল সংগ্রহের খরচ কমাতেই স্বল্প মেয়াদি ঋণ নিয়ে বাজার দখল বাড়াতে চেষ্টা করে। কিন্তু তা ঠিক পথ নয়।
সাধারণত সড়ক, সেতুর মতো পরিকাঠামোয় দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ লাগে। ওই সব ক্ষেত্রে কাজ শেষ করে আয়ের পথ খুলতে সময়ও লাগে বেশি। তাই এখানে লগ্নি করা বা ধার দিতে স্বল্প মেয়াদে ঋণ নেওয়া হলে, আয়ের আগেই ধার শোধের সময় হয়ে যায়। শীর্ষ ব্যাঙ্কের মতে, যে সব এনবিএফসি পরিকাঠামোয় টাকা ঢালে, তাদের ভুগতে হয় বেশি। উল্লেখ্য, আইএল অ্যান্ড এফএস-রও এটাই সমস্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy