Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

লাভের ঝুঁকি

লাভের শিখরে পা রাখার জন্য বেশ খানিকটা ঝুঁকি আপনাকে বইতেই হবে। শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তে বিশ্বাস রেখে লেগে থাকতে পারলে লগ্নির সাফল্য আপনার।ঝুঁকিহীন নিশ্চিন্ত লগ্নিতে তেমন লাভের আশা না-করাই ভাল— মার্কিন উদ্যোগপতি ও লগ্নিকারী রবার্ট আর্নট-এর এই কথাটা বিনিয়োগের দুনিয়ায় খুবই জনপ্রিয়। যার ইঙ্গিত মূলত শেয়ার বাজারের দিকেই।

নীলাঞ্জন দে
শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৬ ০৯:০৪
Share: Save:

ঝুঁকিহীন নিশ্চিন্ত লগ্নিতে তেমন লাভের আশা না-করাই ভাল— মার্কিন উদ্যোগপতি ও লগ্নিকারী রবার্ট আর্নট-এর এই কথাটা বিনিয়োগের দুনিয়ায় খুবই জনপ্রিয়। যার ইঙ্গিত মূলত শেয়ার বাজারের দিকেই।

কমতে থাকা সুদের এই জমানায় শুধুমাত্র নির্দিষ্ট হারে নিশ্চিত সঞ্চয়ের ঘেরাটোপে আটকে থেকে বড় তহবিল তৈরি করা কঠিন। কারণ জিনিসের দাম যে-ভাবে বাড়ছে, তাতে এখন যে-টাকাটা অনেক মনে হবে, ১০-২০ বছর পরে গিয়ে দেখবেন তা দিয়ে জীবনের ন্যূনতম স্বাচ্ছন্দ্যটুকুও বজায় থাকছে না। আর এখানেই উঠে আসে নিরাপদ গণ্ডির বাইরে বেরিয়ে শেয়ার বাজারের মতো ঝুঁকিপূর্ণ লগ্নির পথে পা রাখার কথা। যেখানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে মার খাওয়ার ভয় যেমন আছে, তেমনই রয়েছে ঠিক রাস্তায় এগিয়ে বড় রিটার্নের হাতছানি। যা মূল্যবৃদ্ধির দৈত্যকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। সেখানে অসংখ্য নথিবদ্ধ সংস্থার শেয়ার কেনা-বেচা চলে প্রতিনিয়ত। তবে লগ্নিকারীর রিটার্ন বা লাভের নির্দিষ্ট কোনও হার থাকে না। তা ঠিক করে দেয় বাজার। আজ সেই বাজার নিয়েই কথা বলব আমরা।

কোনটা নেব?

বাজারে লগ্নির সাধারণ নিয়ম বলে, সূচক যখন নামবে তখন আমরা তুলনায় কম দামে ভাল ভাল শেয়ার কিনে রাখব। যাতে তা ওঠার সময়ে ওই সব শেয়ারের দাম বাড়লে আমার লাভের পারদও চড়ে। কিন্তু শেয়ার বাজার তো হাজারটা নথিবদ্ধ সংস্থার ভিড়ে ঠাসা। তার মধ্যে থেকে আসল হিরেটিকে বাছব কী করে? কী করে বুঝব আমার অর্থ, শ্রম, আশা অপাত্রে দান হচ্ছে না?

এ জন্য সঠিক পথে শেয়ার বাছার একটা কৌশল আছে। যদিও সেটা কখনওই বাজারে লাভের ১০০% গ্যারান্টি দিতে পারে না। তবে তা মুনাফা করার অন্যতম পন্থা তো বটেই। এটা তুলে ধরতে কিছু প্রশ্ন করব আমি। উত্তর ভাববেন আপনি। আর সেই ভাবনার হাত ধরেই শেয়ার বাছাইয়ের কাজ সহজ হয়ে যাবে।

১) শেয়ারে লগ্নির জন্য এমন কোনও সংস্থাকে কি চিহ্নিত করেছেন, যেটি নিজের শিল্পের চৌহদ্দিতে চুটিয়ে ব্যবসা করছে?

২) তার বিভিন্ন ব্র্যান্ড দেশে বা বিদেশে জনপ্রিয় তো?

৩) সংস্থাটি ব্যবসার বৃত্তে অন্য প্রতিযোগীদের চাপে রাখে?

৪) বাজারে ভাল মতো চোখে পড়ে তার পণ্য বা পরিষেবা?

৫) মোদ্দা কথা, এটা কি বলা যায় যে, একই শিল্পের অন্যদের সঙ্গে ব্যবসার জমি দখলের লড়াইয়ে ওই সংস্থাটি কিছুটা এগিয়ে? যদি এগিয়ে না-ও থাকে, তা হলে ভবিষ্যতে তা করে দেখানোর ক্ষমতা রয়েছে কি?

৬) সংস্থার আর্থিক ভিত যথেষ্ট পোক্ত? দাগহীন তো হিসেব-নিকেশের খাতা (ব্যালান্স শিট)? (মানে, ঘাড়ে হাঁসফাঁস করা

ঋণের বোঝা চেপে নেই, মুনাফা ঠিক মতো আসছে, দৈনন্দিন

ব্যবসা চালাতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে এগোতে হচ্ছে না, সময়ে সময়ে

ব্যবসা ধীরে হলেও বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে ইত্যাদি)।

৭) সংস্থার ম্যানেজমেন্ট ভাল?

৮) শেয়ারটির কেনাবেচা নিয়মিত হয়? অন্যান্য লগ্নিকারীর কাছে তার যথেষ্ট চাহিদা আছে?

প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনার উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে বুঝবেন সিদ্ধান্ত সঠিক। যে-সংস্থার শেয়ার বেছে নিয়েছেন, এ বার তা উপযুক্ত সময়ে কেনার পথে এগোতে পারেন।

হিসেব-নিকেশ

কথায় বলে কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে।

শেয়ারে পুঁজি ঢেলে মোটা তহবিল গড়তে চাইব, অথচ একটু হিসেব-নিকেশ আর গবেষণার পেছনে সময় খরচ করব না, তা কি হয়? অতএব খাতা-পেন্সিল, ক্যালকুলেটর হাতের সামনে রাখুন। জানবেন খতিয়ে দেখার কোনও শেষ নেই। যত খুঁটিনাটি কাঁটাছেঁড়া করবেন, তত ভাল করে বুঝতে পারবেন শেয়ার বাজারের হাল। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) বা বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) ওয়েবসাইটে যান। সেখানে সব সংস্থার ব্যালান্স শিট দেওয়া থাকে। কোন সংস্থার আর্থিক

অবস্থা এই মুহূর্তে কেমন, বড় রিটার্নের জন্য তার শেয়ারের উপর কতটা আস্থা রাখা যায়, সেটা

বুঝে নিতে পারবেন। তবে ব্যালান্স শিট খুলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক কী কী হিসেব করলে সংস্থার আর্থিক অবস্থাটা কিছুটা ধরতে পারবেন,

সেটা জানা জরুরি।

আর্নিংস পার শেয়ার (ইপিএস)। এর মানে শেয়ার পিছু আয়। সংস্থার আয় করার সম্ভাবনা কতটা, সেটাই যাচাই করা হয় এর মাধ্যমে। শেয়ার পিছু আয় হিসাবের জন্য সংস্থার নিট আয়কে বাজারে তার মোট শেয়ার সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা হয়। এর থেকে বোঝা যায় সংস্থার আয়ের কতটা অংশ প্রতিটি শেয়ারে বরাদ্দ হচ্ছে।

ইপিএস কতটা হলে একটি শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত?

কোনও একটি শিল্পে চোখ রাখুন। দেখুন তার আওতায় থাকা

সংস্থাগুলির মধ্যে কোন কোনটির ইপিএস সব থেকে উপরের দিকে। সেগুলি বাছতে পারেন। তবে সংস্থাটি যেন অচেনা-অজানা বা সন্দেহজনক না-হয়। অর্থাৎ ইপিএস দেখার পাশাপাশি সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাও বিচার করতে হবে।

পাশাপাশি, এটাও দেখে নিতে হবে যে, বেশি ইপিএসের শেয়ার বাছতে গিয়ে আপনি কোনও ‘ওভারভ্যালুড’ সংস্থার উপর বাজি রাখছেন কিনা। ওভারভ্যালুড সংস্থার ইপিএস তার যোগ্যতার তুলনায় অনেক বেশি হয়। এটা বিচারের জন্য প্রথমে সংস্থাটি

যে-শিল্পের আওতাভুক্ত, তার গড় ইপিএস দেখতে হয়। সংস্থাটির ইপিএস সব সময়ে শিল্পের ইপিএসের কাছাকাছি থাকবে। যদি খুব

বেশি হয়, তা হলে বুঝতে হবে

সংস্থাটি ওভারভ্যালুড। সেই সংস্থা বাছলে কিন্তু ভবিষ্যতে লোকসানের ঝুঁকি বাড়ে। কারণ তার শেয়ারের দাম হঠাৎ পড়ে যেতে পারে।

প্রাইস আর্নিং রেশিও (পি/ই রেশিও)। বাজারে কোনও সংস্থার শেয়ারের দামকে শেয়ার পিছু আয় (ইপিএস) দিয়ে ভাগ করে এটা বার করা হয়। এর থেকে বোঝা যায় সংস্থা কতটা দামি। কোনও শেয়ারের পিই কম হওয়ার অর্থ, অন্যদের তুলনায় বাড়ার সুযোগ বেশি আছে তার। সে ক্ষেত্রে শেয়ারের দাম কম হয় এবং তা ওই মুহূর্তে কেনার মতো অবস্থায় থাকে। তবে পিই রেশিও প্রত্যেক দিন বদলায়। সুতরাং সিদ্ধান্তও নিতে হয় সেই অনুযায়ী। ইপিএসের মতো এ ক্ষেত্রেও সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা অবশ্যই দেখে নিতে হবে।

ডিভিডেন্ড ইল্ড। কোনও সংস্থা ভাল মুনাফা করার পরে সাধারণত তার যে-অংশটি শেয়ারহোল্ডারদের দিয়ে থাকে, সেটাই ডিভিডেন্ড। ডিভিডেন্ডকে ওই সংস্থার শেয়ারের বাজার দর দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় ডিভিডেন্ড ইল্ড। যে-সব সংস্থার বছর বছর ডিভিডেন্ড ইল্ড বাড়তে দেখা যায়, সেগুলির শেয়ার হাতে ধরে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ তাদের ডিভিডেন্ড থেকেই লগ্নিকারীর ভাল রোজগার করার সুযোগ থাকে।

ইন্টারেস্ট কভারেজ রেশিও। সংস্থাটি বাজারে ধার শোধের জন্য যত টাকা সুদ দেয়, তার তুলনায় কত গুণ নগদ সংস্থার ভাঁড়ারে আছে, এটা তারই অনুপাত। এর মাধ্যমে জানা যায়, সংস্থার আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হচ্ছে কি না।

এ ছাড়াও আছে আরও অনেক হিসেব। সব কিছুর অত দরকার পড়ে না। তবে ইতিমধ্যেই এই সমস্ত হিসেব-নিকেশ দেখে যাঁরা ঘাবড়ে গিয়েছেন তাঁদের বলব, ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। যে-সমস্ত লগ্নিকারী অঙ্ক কষায় সাবলীল, তাঁরা এগোতে পারেন নিজেদের মতো বিচার-বিবেচনা করে। আর তা না-হলে সোজা নিজের ব্রোকারের কাছে চলে যান। সব হিসেব হাতে গরম দিয়ে দেবেন তাঁরাই।

লাভের মন্ত্র

• বড় মাছ ধরতে গেলে ধৈর্য ধরে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই। শেয়ার বাজারে টাকা ঢালার আগে মনে মনে পণ করুন, ‘স্বল্প মেয়াদে লগ্নি করব না।’ মনে রাখবেন পাঁচ থেকে ১০ বছর যদি শেয়ার ধরে রাখতে পারেন, তা হলে যে-কোনও সঞ্চয় প্রকল্পের থেকে সাধারণত তা বেশি রিটার্ন দিতে পারে। ১০ বছরের বেশ সময় ধরে রাখতে পারলে আরও ভাল।

• এখানে লাভের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত, ছোট-বড় সব পতনেই একটু একটু করে শেয়ার কেনার কৌশল। সূচক ওঠার সময়ে সেই সব শেয়ারের দাম বাড়ার সুযোগ থাকে।

• অনেক সময়ে সামগ্রিক ভাবে বাজার উঠলেও কোনও কোনও সংস্থার শেয়ার দর বিশেষ কিছু কারণে কম-বেশি নামতে পারে। সেই সব শেয়ার কেনার সুযোগ তৈরি হয় তখন। এই বিষয়টি যেন চোখ না-এড়ায়।

• এক সঙ্গে বেশি টাকা লাগানোর অসুবিধা থাকলে শেয়ারগুলি এক লপ্তে কিনবেন না। বরং পরিকল্পনা মাফিক দফায় দফায় কিনুন।

• ঝুঁকি কিছুটা কম রেখে লাভ বেশি রাখতে হলে নানা শিল্পে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার বাছা উচিত। একটি শিল্প কোনও কারণে কম লাভ দিলে বা লোকসান করলে আর একটি শিল্প থেকে তা পুষিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে।

• দীর্ঘ মেয়াদে লগ্নি মানে কিন্তু অনন্তকাল শেয়ার ধরে রাখা নয়। ভাল দাম পেলে ঠিক সময়ে তা বেচে মুনাফা ঘরে তুলুন। মনে রাখবেন লোভের যেমন শেষ নেই, তেমনই অতি লোভে তাঁতি ডোবে।

কাঁটা এড়িয়ে

শেয়ার বাজারে লগ্নির পথে প্রতি মুহূর্তে পায়ে বিঁধতে পারে কাঁটা। সুতরাং এগোতে হবে চোখ-কান খুলে। বাজারে ছড়ানো জল্পনা যেমন আপনাকে ভুল পথে নিয়ে যেতে পারে, তেমনই যুক্তিহীন ভাবে আচমকা লোভী হয়ে উঠলে ডুবতে পারেন চোরাবালিতে। সুতরাং কিছু ক্ষেত্রে নিজেকে সংযত রাখার অভ্যাস করতে হবে, যাতে লাভের আশায় দিক-বিদিক ভুলে লগ্নি করতে ঝাঁপিয়ে না-পড়েন। এ রকম কিছু পরিস্থিতির কথা বলছি, যেখানে শেয়ার কেনা থেকে দূরে থাকাই ভাল—

• অল্প চেনা বা অচেনা কোনও সংস্থার চমকপ্রদ খবর ঘোষণা। যেমন, তারা হয়তো বিপুল বরাত পেয়েছে কিংবা বিদেশে কোনও প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

• এ রকম অজানা-অচেনা সংস্থার সাফল্য ও বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা ফলাও করে বলে তাদের শেয়ারে লগ্নির সুপারিশ করেছে কোনও ওয়েবসাইট। এসেছে এসএমএস।

• দু’টি সংস্থার সংযুক্তি ঘটছে এবং তার হাত ধরে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে বিপুল রিটার্ন দেওয়ার।

• কোনও কারণ ছাড়া আচমকাই একটি সংস্থার শেয়ার লেনদেন ব্যাপক পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছে। আর সকলে ভাবছে তার চাহিদা বাড়ছে।

• কোনও সংস্থার শেয়ারের দাম কম রয়েছে এবং বলা হচ্ছে তা ভবিষ্যতে বাড়তে পারে। বইছে প্রতিশ্রুতির বন্যা।

• এসএমএসে বা মেল-এ বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিচ্ছেন কোন শেয়ার কেনা উচিত।

মাথায় রাখুন

১) ব্রোকিং সংস্থায় গিয়ে ফর্ম ভর্তির সময়ে সাবধান। সব জেনে-বুঝে তবেই সই করুন।

২) লেনদেনের প্রক্রিয়া বিশদে বুঝতে গুটিয়ে না-থেকে সোজা-সাপ্টা প্রশ্ন করুন

৩) বাজারের অবস্থা, তার উপর নানা ঘটনার প্রভাব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকুন

৪) খবর রাখুন নথিবদ্ধ সংস্থাগুলি সম্পর্কে

৫) শেয়ার কেনার আগে সংস্থার সাইট দেখুন। এখন সব পেশাদার সংস্থাই তাদের সাইটটিকে ‘আপ-টু-ডেট’ রাখে। ভুয়ো সংস্থাকে চিনতে কিছুটা সাহায্য করে এই প্রক্রিয়া।

৬) শেয়ার দরের ওঠা-পড়ার দিকে নজর রাখুন

৭) সামান্য উঠলেই উচ্ছ্বাস নয়। ভেঙে পড়ারও কারণ নেই দর একটু পড়লে

৮) শেয়ারের দাম হঠাৎ খুব দ্রুত ওঠা-পড়া করলে সাবধান

লেখক শেয়ার বাজার ও মিউচুয়াল ফান্ড বিশেষজ্ঞ

(মতামত ব্যক্তিগত)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Risk profit
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE