এক ধাক্কায় ১১০ পয়সা। সোমবার ডলারের সাপেক্ষে এ ভাবেই পড়ে গেল টাকার দাম। দিনের শেষে এক ডলার দাঁড়াল ৬৯.৯৩ টাকা। যা সর্বকালীন রেকর্ড। পাঁচ বছরে এক দিনে এতটা নামেনি ভারতীয় মুদ্রা।
অর্থনীতি নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান। কিন্তু তাতে আশ্বস্ত না হয়ে লগ্নিকারীরা ক্রমাগত বিক্রি করছেন সে দেশের মুদ্রা লিরা। ফলে রেকর্ড পতন অব্যাহত তার দামে। আর সেই পতনেরই ঢেউ সোমবার আছড়ে পড়ল বিভিন্ন দেশের মুদ্রার উপরে। প্রভাব এড়াতে পারল না টাকাও।
গত কয়েক মাস ধরেই চাহিদা বাড়ছে ডলারের। ফলে বেড়ে চলেছে তার দাম। পাল্লা দিয়ে পড়ছে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা। ব্যতিক্রম নয় লিরাও। চলতি বছরেই ডলারের সাপেক্ষে যা নেমেছে ৪৫%। তার উপরে দুই অঙ্কে পৌঁছেছে তুরস্কের মূল্যবৃদ্ধি। বেড়েছে বাণিজ্য ও চলতি খাতে ঘাটতি। অথচ এর্দোয়ান প্রশাসনের চাপে সুদ বাড়াতে পারছে না শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ফলে আশঙ্কার মেঘ জমাট বাঁধছে অর্থনীতি ঘিরে। এই সব কারণেই সোমবার নতুন করে ধস নামে লিরার দরে। যার জের
এসে পড়ে ভারতে।
সরকারি সূত্রের খবর, টাকার দাম নিয়ে সোমবার সকালে অর্থ মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তাদের। সেখানে নগদের জোগানে সামঞ্জস্য রাখতে শীর্ষ ব্যাঙ্ককে মাঠে নামতে বলা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের হস্তক্ষেপেও কাজ হয়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, টাকার এই পতন ভোট বছরে মোদী সরকারের চিন্তা আরও বাড়াতে চলেছে। কারণ, এতে আমদানি খরচ বৃদ্ধির হাত ধরে বাড়বে বাণিজ্য ও চলতি খাতে ঘাটতি। কমবে রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখার সম্ভাবনা।
তুরস্কের সমস্যায় এ দিন বিশ্ব জুড়ে নেমেছে বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজারও। ভারতে সেনসেক্স পড়েছে ২২৪.৩৩ পয়েন্ট। অ্যাঞ্জেল ব্রোকিংয়ের ফান্ড ম্যানেজার ময়ুরেশ জোশীর আশঙ্কা, এই সমস্যায় বাজার আরও কিছুটা পড়তে পারে। টাকার দামের পতনে ঘাটতিতে প্রভাব পড়ার কথা বলেছেন স্টুয়ার্ট সিকিউরিটি়জের চেয়ারম্যান কমল পারেখও। কেন্দ্রকে নিশানা করে কংগ্রেসের কটাক্ষ, নরেন্দ্র মোদীর আমলে টাকা কার্যত আইসিইউয়ে চলে গিয়েছে।
এই অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি কমা, শিল্পোৎপাদন বাড়ার মতো খবর টাকা ও সূচকের পতনে কিছুটা রাশ টানতে পারে কি না, সে দিকেই চোখ সকলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy