প্রতীকী ছবি।
করোনা ধাক্কা দেওয়ার আগে থেকেই দেশে অর্থনীতির ঝিমুনিতে তলিয়ে গিয়েছিল চাহিদা। গাড্ডায় পড়েছিল গাড়ি শিল্প। এমন অবস্থায় অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ সামলে যখন উৎসবের মরসুমে বিক্রি বৃদ্ধির আশায় বুক বাঁধছে গাড়ি সংস্থাগুলি, তখনই আবার সামনে পাঁচিল তুলল সেমিকনডাক্টরের মতো প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের জোগানে ঘাটতি। আশঙ্কা মিলিয়ে সেপ্টেম্বরে গাড়ি বিক্রি
কমল। এমনকি তা গত বছরের সেপ্টেম্বরের থেকেও কম। অথচ সে বার তখন দীর্ঘ লকডাউন সবেমাত্র শিথিল হচ্ছে ধীরে ধীরে। কোভিডের প্রথম ধাক্কার পরে বিক্রিবাটা এমনিতে কমের দিকেই ছিল।
শুক্রবার মারুতি-সুজুকি, হুন্ডাই, হোন্ডা মহিন্দ্রা-সহ বেশির ভাগ গাড়ি সংস্থাই জানিয়েছে সেপ্টেম্বরে বিক্রি কমে যাওয়ার কথা। গাড়ি শিল্পের বক্তব্য, এই মুহূর্তে বাজারের চাহিদা মেটাতে যত গাড়ি লাগবে, যন্ত্রাংশের অভাবে তৈরি করা যাচ্ছে তার থেকে অনেক কম। ফলে চাহিদা-জোগানের ভারসাম্যটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মারুতি-সুজুকি, মহিন্দ্রার মতো সংস্থা জানাচ্ছে, যন্ত্রাংশ জোগানের সমস্যা কাটাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
তবে কিছু সংস্থার গাড়ি বিক্রি বেড়েছে অনেকখানি। তাদের মধ্যে আছে, টাটা মোটরস এবং টয়োটা কির্লোস্কর মোটর (১৪%), নিসান (তিন গুণ), এমজি মোটর (২৮%), স্কোডা অটো ইন্ডিয়া (দ্বিগুণেরও বেশি), ভিই কমার্শিয়াল (৭৭.৮%)। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, দামি এবং
কেজো (এসইউভি) গাড়ির চাহিদা বাড়লেও, সার্বিক বাজারের নিরিখে তাদের অংশীদারি কম। তুলনায় কম দামি এবং ছোট গাড়ির দখলদারি এখনও বেশি। ফলে শুধু দামি গাড়ির বিক্রি বৃদ্ধিই গাড়ি-বাজারের ছবি বোঝার পক্ষে যথেষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy