২০২০ সালে আমেরিকা ফের মন্দার কবলে পড়তে পারে— মার্কিন অর্থনীতিবিদদের সংগঠন ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর বিজনেস ইকনমিক্স এক সমীক্ষা এই রকমই পূর্বাভাস দিয়েছে। আমেরিকা সত্যিই মন্দার কবলে পড়লে, প্রত্যাশিত ভাবেই সারা বিশ্বে তার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা। এমন কথাও জানিয়েছে ওই রিপোর্ট। সোমবার বিশ্ব জুড়ে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারগুলিতে। ব্যতিক্রম ঘটেনি ভারতের শেয়ার সূচকের ক্ষেত্রেও।
এই কারণেই গত শুক্রবার বড় মাপের পতন হয় আমেরিকার শেয়ার সূচক ডাও জোন্সের। আর সোমবার এর জেরে সেনসেক্স নেমে যায় ৩৫৫.৭০ পয়েন্ট। নিফ্টি পড়েছে ১০২.৬৫। এই নিয়ে গত দু’দিনে সেনসেক্সের পতন হল ৫৭৫ পয়েন্টের বেশি। এ দিন বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স ৩৭,৮০৮.৯১ অঙ্কে এবং নিফ্টি ১১৩৫৪.২৫ অঙ্কে শেষ হয়।
সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার আর্থিক বৃদ্ধি ২০১৮ সালে ছিল ২.৯%। চলতি বছরে তা ২.৪ শতাংশে নেমে আসতে পারে। পরের বছর তা আরও কমবে। দাঁড়াবে ২ শতাংশের কাছাকাছি।
আমেরিকার আর্থিক বৃদ্ধি ধাক্কা খেলে বিশ্ব জুড়েই তার বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। যা রূপ নিতে পারে মন্দার। আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে শুল্ক যুদ্ধ সমস্যা আরও বাড়াচ্ছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই অবস্থায় লগ্নিকারীরা হাতে শেয়ার ধরে রাখতে তেমন ভরসা পাচ্ছেন না বলে বাজার সূত্রের খবর।
এ দিকে ডলারের সাপেক্ষে টাকার জৌলুস ইতিমধ্যেই কমতে শুরু করেছে। এ দিন অবশ্য সামান্যই বেড়েছে ডলারের দাম। বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম আগের দিনের থেকে ১ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৬৮.৯৬ টাকা।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে টাকা এবং ডলারের যে বিনিময় প্রকল্প চালু করতে চলেছে তার প্রভাব বাজারে কী ভাবে পড়ে, তা দেখার জন্য এ দিন ডলার কেনাবেচা থেকে অনেকটাই হাত গুটিয়ে রেখেছিলেন লগ্নিকারীরা। অন্য দিকে, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি ভারতের বাজারে লগ্নির বহর কমানোর ফলে জোগান কমেছে ডলারের। সোমবার ওই সব সংস্থা ভারতের বাজারে ১৫০.৪০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy