Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

টানা ছ’দিনে সূচক বাড়ল ১০৯০

অব্যাহত রয়েছে সেনসেক্সের উত্থান। উচ্চতার একের পর এক রেকর্ডও তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবারও বেড়েছে সূচক। তবে এ দিন লাভের টাকা তুলে নেওয়ার জন্য লেনদেনের শেষের দিকে শেয়ার বিক্রির জেরে সূচক অনেকটাই নেমে আসে। বাজার বন্ধ হওয়ার সময়ে আগের দিনের থেকে মাত্র ৩০ পয়েন্টের মতো বাড়লেও উচ্চতায় ফের নয়া নজির গড়ে সেনসেক্স থিতু হয় ২৬,৪২০.৬৭ অঙ্কে। এই নিয়ে টানা ছ’দিনের লেনদেনে সেনসেক্স বাড়ল ১০৯০ পয়েন্ট।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৪ ০২:০৮
Share: Save:

অব্যাহত রয়েছে সেনসেক্সের উত্থান। উচ্চতার একের পর এক রেকর্ডও তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবারও বেড়েছে সূচক। তবে এ দিন লাভের টাকা তুলে নেওয়ার জন্য লেনদেনের শেষের দিকে শেয়ার বিক্রির জেরে সূচক অনেকটাই নেমে আসে। বাজার বন্ধ হওয়ার সময়ে আগের দিনের থেকে মাত্র ৩০ পয়েন্টের মতো বাড়লেও উচ্চতায় ফের নয়া নজির গড়ে সেনসেক্স থিতু হয় ২৬,৪২০.৬৭ অঙ্কে। এই নিয়ে টানা ছ’দিনের লেনদেনে সেনসেক্স বাড়ল ১০৯০ পয়েন্ট।

এ দিন টাকার দামও বেড়েছে। ডলারের সাপেক্ষে তা ৯ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে এ দিন বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম এসে দাঁড়িয়েছে ৬০.৬৭ টাকা।

মঙ্গলবার লেনদেনের শুরু থেকেই বাজার উঠতে থাকে। এক সময়ে সেনসেক্স পৌঁছে যায় ২৬,৫৩০ অঙ্কে। তবে পরের দিকে মুনাফার টাকা তুলে নেওয়ার জন্য লগ্নিকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে থাকেন। যার জেরে বেশ খানিকটা নেমে আসে সেনসেক্সের পারা। বিশেষ করে গাড়ি তৈরির সংস্থা এবং ব্যাঙ্কের শেয়ারের দিকেই লগ্নিকারীদের নজর ছিল বেশি। ফলে ওই সব সংস্থার শেয়ারের দাম দ্রুত বেড়ে যায়।

তা হলে শেয়ার বাজারে দামে সংশোধন বা ‘কারেকশন’-এর পালা কি আপাতত শেষ? বিশেষজ্ঞরা অবশ্য তা মনে করেন না। স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান এবং সিএসই-র প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখ বলেন, “বাজারে কারেকশন ফের আসবে। তবে সেটা মূলত হবে মুনাফার টাকা তুলে নেওয়ার জন্য শেয়ার বিক্রির জেরেই।”

তবে সূচকের এই বৃ্দ্ধি শেয়ারের দাম সার্বিক ভাবে বাড়ার ফলে হয়েছে বলে মনে করেন না বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই। যেমন কমলবাবু বলেন, “সূচকের উত্থানের পিছনে অবদান রয়েছে গুটি কয়েক শেয়ারের দ্রুত দাম বাড়ার। যে-সব শেয়ারের দাম দ্রুত বেড়েছে, তাদের মধ্যে ব্যাঙ্ক, গাড়ি তৈরির সংস্থা ছাড়াও রয়েছে টিসিএস, ইনফোসিসের মতো কিছু হাতে গোনা সংস্থার শেয়ার। অথচ, নির্মাণ বা রিয়েল এস্টেট, বিদ্যুৎ, ভোগ্যপণ্য সংস্থার শেয়ারের দাম কিন্তু সেই ভাবে বাড়েনি। রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু নামী সংস্থার শেয়ারের দাম এখনও ২০০৮ সালে যেখানে ছিল, প্রায় সেখানেই রয়েছে।”

বাজার তা সত্ত্বেও টানা বাড়ছে কেন? বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বর্তমানে বাজারে নেতিবাচক কোনও বিষয় নেই। তার উপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের আর্থিক হাল ফেরানোর জন্য যে-সব কথা বলেছেন, তাতে শেয়ার বাজার বিশেষ ভাবে উৎসাহিত।

তা ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামও অনেকটাই নেমে এসেছে। পাশাপাশি বর্ষা ভাল না-ও হতে পারে বলে যে আশঙ্কা ছিল, তা অনেকটাই কেটে গিয়েছে। এর উপর শেয়ার বাজার মহলের দৃঢ় বিশ্বাস, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার কমানোর জন্য পদক্ষেপ করতে আর বেশি দেরি করবে না। মূলত এই সব কারণেই বাজার বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রকাশ করতে শুরু করেছে ব্যাঙ্কগুলি। দেখা যাচ্ছে, প্রায় সবক’টি ব্যাঙ্কই তাদের অনুৎপাদক সম্পদ কমিয়েছে। ফলে কমেছে ওই খাতে আর্থিক সংস্থানও, যা ব্যাঙ্কের মুনাফা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে। এই কারণেই ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম দ্রুত বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি গাড়ি সংস্থার শেয়ারের দামেও জোয়ার এসেছে, যার জেরে বাড়ছে ব্যাঙ্ক ঋণ ও তার সুদ খাতে আয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

sensex nifty bse
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE