একে তো ক’দিন বাদে ইরানের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা চাপলে বিশ্ব বাজারে তেলের জোগান ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা। তার উপর ভারতের মতো তেল আমদানিকারী দেশগুলিকে আরও ভয় পাইয়েছে সাংবাদিক জামাল খাশোগির খুন ঘিরে সৌদি আরবের সঙ্গে পশ্চিমী দুনিয়ার কূটনৈতিক সংঘাত। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক দুনিয়াকে খানিকটা স্বস্তি দিয়ে সৌদি তেলমন্ত্রী খালিদ-আল-ফালির দাবি, কোনও নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে তেলের দাম চড়তে দেওয়ার প্রশ্ন নেই। বরং উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনাই করেছেন তাঁরা। যাতে আগামী দিনে ইরানের তেলের অভাবে তৈরি হওয়া ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়।
বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দর এখন ঘোরাফেরা করছে ব্যারেলে ৮০ ডলারের কাছাকাছি। আশঙ্কা, ইরান থেকে তেলের জোগান কমলে দাম আরও বাড়তে পারে। তার উপর সম্প্রতি ইস্তানবুলের সৌদি কনসুলেটে খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ফুঁসছে পশ্চিমী দেশগুলি। বহু মার্কিন সেনেটর তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। সত্যিই তেমন কোনও নিষেধাজ্ঞা বসানো হলে, পাল্টা হিসেবে আরও বড় মাপের জবাব দেওয়ার হুমকি দেয় বিশ্বের বৃহত্তম ওই তেল রফতানিকারীও।
তখনই দানা বাঁধে আশঙ্কা, তা হলে কি ইরানের পরে এ বার কমতে পারে সৌদির তেলের জোগানও? কারণ, সরবরাহ আরও কমলে দাম আরও বাড়ার ভয় থাকবে। বস্তুত এই অনিশ্চয়তার জেরে বিশ্ব বাজারে সোমবার দাম কিছুটা বেড়েছেও।